Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

লন্ডনে খালেদা-তারেকের কূটনৈতিক মিশন!

প্রিন্ট সংস্করণ॥ আফছার আহমদ রূপক

সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭, ০৬:৫৮ এএম


লন্ডনে খালেদা-তারেকের কূটনৈতিক মিশন!

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার জ্যেষ্ঠপুত্র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। তারা বিদেশি শক্তি ধরে যেভাবেই হোক আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চান। যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তাদের ধারণা বিএনপির সমর্থক এখনো আওয়ামী লীগের থেকে বেশি। জনগণ ভোট দিতে পারলে এবং সেই ভোটের সঠিক গণনা হলে আবারো ক্ষমতায় যাবে বিএনপি। নিরপেক্ষ বা সহায়ক সরকার আদায়ের এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে বাগে এনেছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। গতদুদিন আগে বাংলাদেশে অবাধ নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণে একাদশ নির্বাচন দেখতে চেয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জোর লবিয়িং করছেন জাতিসংঘ, ইউরোপিও ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন এমন কী ভারতের সঙ্গেও। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, দীর্ঘদিন তারেক রহমান লন্ডনে থাকলেও বিদেশিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে পুরোপুরি সমর্থন আদায় করতে পারছিলেন না। তাই তার মা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পা এবং চোখের চিকিৎসার কথা বলে তাকে লন্ডনে নিয়েছেন কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ তৈরি করে সহায়ক সরকার দিতে বাধ্য করার জন্য। বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীদের মতো খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানও চান একাদশ নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনে হোক। বিদেশি বন্ধুদেরও তারা বিষয়টি বোঝাচ্ছেন। তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া বিদেশিদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছেন। তাদের ধারণা বিদেশিরা বিএনপির পক্ষে থাকলে শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচন করলেও ভোট কারচুপি না-ও হতে পারে। খালেদা ও তারেক রহমান বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্বল জায়গাগুলো উপস্থাপন করছেন।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা ইস্যু ও ভয়াবহ বন্যায় ত্রাণ বিতরণে সরকারের ব্যর্থতার কথা বলেছেন বিদেশিদের। পাশাপাশি কেন শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু সম্ভব নয় তার বিভিন্ন যৌক্তিক কারণ তুলে ধরছেন। এমনকী দলীয় নেতাকর্মীদের গুম, তাদের বিরুদ্ধে একেরপর এক মামলার বিষয় আলোচনা করছেন। ইতোমধ্যে এসব বিষয়ে অনেক দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই কথা বলেছেন। আরো কিছু দেশ এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা বাকি আছে। এজন্যই চলতি মাসে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার কর্মসূচি পেছানো হয়েছে। সম্ভবত আগামী মাসে তিনি দেশে ফিরবেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেএডএম জাহিদ হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাই যথেষ্ট। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কিংবা সহায়ক সরকারের দাবি আদায়ে বিদেশিদের দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপে ফেলতে হবে না। তাই লন্ডনে কোনও মিশন-টিশনের প্রয়োজনও নেই। জনগণই সহায়ক সরকারের দাবি আদায়ে বড় শক্তি,বিদেশিরা নন। বিএনপির সঙ্গে যোগ দিয়ে জনগণই হারানো গণতন্ত্র উদ্ধারে মাঠে নামবেন। সেদিন আর বেশি দূরে নয়।