Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

সংশোধন হচ্ছে মাউশির নিয়োগবিধি

প্রিন্ট সংস্করণ॥ বেলাল হোসেন

জানুয়ারি ১৬, ২০১৮, ০৬:৪৩ পিএম


সংশোধন হচ্ছে মাউশির নিয়োগবিধি

অবশেষে মাউশির শূন্যপদে স্থায়ী জনবল নিয়োগখরা কাটতে যাচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ১৯৯১ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে ‘উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস’ শিরোনামে নতুন তফসিল সংযোজনের প্রস্তাব দিয়ে সেটি অনুমোদনের জন্য প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সচিব কমিটির সভা হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
জানা গেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ৯ম গ্রেডের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ১০ম গেডের সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ১৪তম গ্রেডের হিসাব রক্ষক, ১৬তম গ্রেডের অফিস সহকারউ/ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ২০তম গ্রেডের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরীসহ মোট ছয়টি পদের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। নিকার-এর ৯৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমাপ্ত প্রকল্পের জনবল খসড়া নিয়োগবিধি দিয়ে রাজস্ব খাতে পদায়ন, নিয়মিতকরণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়। তবে চূড়ান্ত নিয়োগবিধি না থাকায় এসব জনবল শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। ফলে অস্থায়ী পদে কর্মরত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিলেকশন গ্রেড/টাইমস্কেল ও পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা এবং প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের জনবলের জন্য ‘কর্মকর্তা ও কর্মচারী (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর) নিয়োগ বিধিমালা ১৯৯১-এর তফসিলে ‘উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস’ শিরোনামে নতুন তফসিল সংযোজন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নিয়োগবিধিমালার সংশোধিত প্রস্তাবে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে মোট পদের ৫০ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে (সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে ন্যূনতম আট বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে) ও বাকি ৫০ ভাগ জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদায়নের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সরাসরি নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে সেখানে। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে জিপিএতে চার বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে বিভিন্ন প্রকল্প হতে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত/আত্মীকৃত এ পদের কর্মকর্তাদের নিয়োগ যোগ্যতার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা যোগ্যতা প্রযোজ্য হবে। মোট পদের শতকরা ৫০ ভাগ পদোন্নতি ও শতকরা ৫০ ভাগ সরাসরি নিয়োগের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। তবে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অফিস সহকারী/ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে ন্যূনতম পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা এবং সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক ২য় শ্রেণি/বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ কম্পিউটারে এমএস অফিস ওয়ার্ড এবং ইন্টারনেটে কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অফিস সহকারী/ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বীকৃত বোর্ড থেকে ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণসহ কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটারের ওপর প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। তবে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সব প্রার্থীকে ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর হতে হবে বলা হয়েছে প্রস্তাবে। এদিকে অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের ক্ষেত্রে পদোন্নতি/অবসর/পদত্যাগ/মৃত্যু বা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ নীতিমালা ২০০৮ অনুযায়ী করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে।