Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

শতভাগ মামলাজট মুক্ত হচ্ছে ‘ঢাকা রেঞ্জ’

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ১০:০৫ এএম


শতভাগ মামলাজট মুক্ত হচ্ছে ‘ঢাকা রেঞ্জ’

বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম(বার)‘র বিশেষ উদ্যোগে ঢাকা বিভাগীয় অন্তর্ভুক্ত সকল থানায় মামলা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কার্যক্রম একযোগে চলছে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশে।
 
তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা রেঞ্জের ২৩ থানাতে তদন্তাধীন নেই কোনো অপমৃত্যুর মামলা। এছাড়া নিয়মিত মামলা নেই তিন থানায়। ৬ মাসের মধ্যেই তদন্ত শেষ হচ্ছে সকল মামলা।এমন চিত্রই বিদ্যমান সকল থানাতে। 

স্টাফ অফিসার টু ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ এর মোহাম্মদ নাজমুর রায়হান দৈনিক আমার সংবাদকে জানান, এরমধ্যে থানায় তদন্তাধীন রয়েছে মাত্র ৪৪৩ টি মামলা। আর এই বিষয়ে সকল থানার সমন্বয়ে মামলাজট কমিয়ে আনতে একযোগে সবাই কাজ করছে।সর্বশেষ যে মামলাগুলো তদন্তাধীন রয়েছে সেগুলোর সময়সীমা রয়েছে ৬ মাসের। 

এদিকে টানা ১২ মাস ধরে কোনো থানায় মামলা সংখ্যা সিঙ্গেল ডিজিট রাখার নজিরও স্থাপিত হয়েছে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা রেঞ্জে, যা ১৬০ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথম বলে মনে করছেন অনেকে। 

এসময়ে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, একটা সময় ছিল যখন বছরের পর বছর মামলা ঝুলে থাকতো নিয়মিত। তদন্ত অসমাপ্ত থাকতো অপমৃত্যুর। সে সমস্ত ইতিহাসকে না বলে দিয়েছে ঢাকা রেঞ্জ। 

তিনি আরো বলেন, দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের পরিসংখ্যানে এমন চিত্র ফুটে উঠেছে।

বেশ কিছু বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা রেঞ্জের থানাগুলোতে কোট পিটিশনের মামলা তদন্তাধীন ছিল প্রায় ৬ হাজারের বেশি। এসব মামলা কমে এখন দাড়িঁয়েছে দুই হাজারের গড়ে।

ঢাকা রেঞ্জ অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, এরই মধ্যে যেসব থানায় এখন অপমৃত্যুর মামলা শূন্যের কোঠায় রয়েছে সেগুলো হলো – মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, মানিকগঞ্জের শিবালয়, হরিরামপুর ও দৌলতপুর নরসিংদীর পলাশ, মাধবদী রায়পুরা ও মনোহরদী, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, ভূয়াপুর, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব নাগরপুর ও ধনবাড়ী। সেই সাথে ফরিদপুরের সালথা, রাজবাড়ী, বালিয়াকান্দি, কালুখালী, মাদারীপুরের কালকিনি, ডাসার শিবচর, ও রাজৈর এবং শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ।

এছাড়া যে তিন থানায় নিয়মিত মামলা নেই সেইগুলো হলো – হরিরামপুর, দৌলতপুর, ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানা।

অতিরিক্ত ডিআইজি নুরে আলম মিনা আমার সংবাদকে বলেন, থানা গুলোতে যাতে অযথা কোনো মামলা বিচারাধীন না থাকে সে বিষয়ে ডিআইজি হাবিবুর রহমান স্যার সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। একই সাথে মামলা দ্রুত তদন্ত করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
 
তিনি বলেন, যথাসময়ে ভিসেরা ও রসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া সহ নানা কারণে আগে তদন্তকাজে সময় বিলম্ব হতো। তাই এ বিষয়ে ২০১৯ সালে রেঞ্জ অফিস থেকে বিশেষ সেল গঠন করে রিপোর্ট সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এএসপি তাইজূল ইসলাম এর নেতৃত্বে চার জনের একটি দল এ বিষয়ে কাজ করছে।

নুরে আলম মিনা আরও জানানা, এসেল থেকে যখাসময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর (ঢাকায় অবস্থিত) থেকে ভিসেরা রসায়নিক রিপোর্ট সংগ্রহ করে বিশেষভাবে থানা গুলোতে পৌঁছে দিচ্ছেন ঢাকা রেঞ্জ অফিস। এতে তদন্তকাজে বেশ গতি বেড়েছে। কমেছে রিপোর্ট প্রদানের সময়ও। গত দুই বছরের রেঞ্জ অফিসের বিশেষ সেল ২ হাজার ২২টি ভিসেরা রিপোর্ট এবং ১৭ হাজার ৮৮৬ টি মাদক পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। এর মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।