Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

আতলেতিকোকে হারিয়ে সেমিতে বার্সেলোনা

জানুয়ারি ২৯, ২০১৫, ০৫:২৬ এএম


আতলেতিকোকে হারিয়ে সেমিতে বার্সেলোনা

 

নেইমারের জোড়া গোল। আতলেতিকোর দুইজন মাঠ থেকে বহিস্কার। লাইন্সম্যানের দিকে বুট ছুড়ে দেয়া। খেলোয়াড় কর্মকর্তাদের ধাক্কাধাক্কি। একটা হাই ভোল্টেজ ম্যাচ বলতে যা বোঝায় তার সবটাই ছিল শেষ রাতের বার্সেলোনা-আতলেতিকো মাদ্রিদের খেলায়। আর কোপা দেল রের সেই আগুন ঝরা কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের শেষের হাসিটা বার্সার। ম্যাচে আতলেতিকোকে ৩-২ গোলে হারালো তারা। প্রথম লেগে ছিল ১-০ গোলের জয়। দুইয়ে মিলিয়ে ৪-২ গোলের অ্যাগ্রেগেটে সেমিফাইনালে উঠে গেল বার্সেলোনা।


স্প্যানিশ রাজধানীতে আতলেতিকোর মাঠে আতিথেয়তা নিয়েছিল বার্সা। ভিসেন্তে ক্যালদেরনে ১ গোলের অ্যাডভান্টেজ ছিল বার্সার। সেটি প্রথম লেগের ম্যাচের। সেই অ্যাগ্রগেট সমতায় এনে ফেলেন ফার্নান্দো তরেস ম্যাচের প্রথম ৬০ সেকেন্ডর মধ্যেই গোল করেন তিনি। নয় মিনিটে নেইমারের যাদুতে সমতা এনে ফেলে বার্সা।

রাউল গার্সিয়া ৩০ মিনিটের সময় আতলেতিকোকে আবার লিড এনে দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। কিন্তু ৩৮ মিনিটে মিরান্ডার আত্মঘাতি ও ৪১ মিনিটে নেইমারের দ্বিতীয় গোলে বিরতির আগেই ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। শেষ পর্যন্ত ওটাই হয় ম্যাচের ফল।


প্রথমার্ধ শেষে বিরতির সময় খেলোয়াড়দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তাতে আতলেতিকোর গ্যাবি দেখেন লাল কার্ড।। রাউল গার্সিয়া তেড়ে যান বার্সার বেঞ্চের দিকে। আর আরদা তুরান নাটকীয়ভাবে বুট ছুড়ে মারেন লাইন্সম্যানের দিকে। সব মিলিয়ে একটা বাজে অবস্থা তৈরি হয়। আবার ম্যাচের শেষদিকে ১০ জনের আতলেতিকো ৯ জনের হয়ে যায় মারিও সুয়ারেজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে।

ম্যাচের প্রথম গোলটা তরেসের। ভুলটা ডিফেন্স থেকে মাচেরানোর। লম্বা বল দিয়েছিলেন তিনি। সেই বল সিকুইরা মাঝ মাঠে পান। তিনি এগিয়ে গিয়ে বলটা দিয়েছেন তরেসকে। আর প্রথম মিনিটেই তরেস বার্সেলোনার জালে বল জড়ান। উল্লাসে ফেটে পড়ে আতলেতিকোর মাঠ, গ্যালারি, গোটা স্টেডিয়াম।
স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের আনন্দ ধ্বনি কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল। এমনই সময় লিওনেল মেসি ও লুই সুয়ারেজ মিলে একটা আক্রমণ তৈরি করেন। সেখান থেকে বলটা লক্ষ্য করে ছুটে যায় নেইমারের পায়ে। নেইমালের এমন গোল করতে ভুল হয়না। এবারও হয়নি। ১৮ মিনিটে নেইমারের আরেকটি গোল অফসাইডের খাড়ায় পড়ে বাতিল হয়।


এরপর গ্রিজমান একটি দারুণ সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেন নি। মাচেরানো হুয়ানফ্রাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আতলেতিকো। আরা রাউল গার্সিয়া বার্সার জালে বল জড়ান। দ্বিতীয়বার লিড পায় আতলেতিকো। এর ৮ মিনিট পর স্বাগতিক ডিফেন্ডার মিরান্দা একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান। এবং এর কিছুক্ষণের মধ্যে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ঝাপিয়ে পড়ে বার্সা। মেসি নিজের অর্ধে বল নিয়ে এগিয়েছেন। সময় মতো তা বাড়িয়ে দিয়েছেন জর্দি আলবাকে। আর আলবা বলটা ঠেলেছেন নেইমারকে। এই তিনের সমন্বয়ে দারুণ এক গোলে ৩-২ এর ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা।


বিরতির সময় মাঠের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে খেলোয়াড়দের টানেলে। গ্যাবি লাল কার্ড পান। তুরানের ভাগ্য ভালো। বুট ছুড়েও লাল কার্ড দেখতে হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে আতলেতিকো ১০ জনের হলেও সুবিধা তুলে নিতে পারেনি বার্সেলোনা। বরং সিমিওনের দল বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। ৭০ মিনিটে কানির শট থেকে বিপদ হতে পারতো বার্সার। স্তেগেন ভালোভাবে সামলেছেন তা। আর খেলা শেষের ৭ মিনিট আগে মারিও সুয়ারেজ মার্চিং অর্ডার পেলে আতলেতিকোর ফেরার সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। সেমি ফাইনালে বার্সেলোনা খেলবে গেতাফে-ভিয়ারিয়ালের মধ্যকার বিজয়ীদের সাথে।