Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

তবু খুশি নন ফন গাল

ডিসেম্বর ৪, ২০১৪, ১০:০৫ এএম


তবু খুশি নন ফন গাল

তিন দিন আগে বাংলাওয়াশের ‘শিকার’ হলো জিম্বাবুয়ে! বাংলাওয়াশের এ স্মৃতি সজীব থাকতেই আতাহারের কাছে শব্দটির ইতিহাস ও এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য জানতে চাইলে হাসলেন। বললেন, ‘আবারও বলতে হবে!’ আতাহারের কাছে পুরোনো হলেও শব্দটি বাংলাদেশের জন্য এতই মধুর, যতবার এর গল্প শোনা হয়, ততই যেন ভালো লাগে! 
আতাহার স্মৃতি থেকে বললেন, ‘নিউজিল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান মিলসকে রুবেল বোল্ড করার পর পাশে থাকা ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসন বললেন, ‘‘হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ’’। সঙ্গে সঙ্গে বললাম, তোমার মতে হয়তো ‘‘হোয়াইটওয়াশ’’। কিন্তু আমার মতে এটা ‘‘বাংলাওয়াশ’’! ওই প্রথম চালু হলো শব্দটি। ক্রিকইনফোতে লেখা হলো, আতাহার আলী খান একে ‘‘বাংলাওয়াশ’’ বলেছেন!’
ওই সময় মাথায় কীভাবে এল শব্দটি? জনপ্রিয় এ ধারাভাষ্যকার বললেন, ‘আসলে হঠাৎ করেই মাথায় এসেছিল। কোনো পরিকল্পনা করে এটা বলিনি। হোয়াইটওয়াশ-ব্লাকওয়াশ প্রভৃতি শব্দ আগে থেকেই প্রচলিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করার পর ‘‘ব্লাকওয়াশ’’ শব্দটার প্রচলন হয়েছিল। হঠাৎই কেন যেন মনে হলো, এটা তাহলে বাংলাওয়াশই হবে! প্রথম আলো দুবার শিরোনাম করল বাংলাওয়াশ শব্দ দিয়েই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কিন্তু এ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।’ 
নিজের আবিষ্কৃত শব্দের এমন জনপ্রিয়তা কেমন লাগে? মৃদু হাসলেন। বললেন, ‘খুব ভালো লাগে। আমার ব্যবহৃত শব্দটি সবার মুখে মুখে। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে!’ 
তবে এটিকে নিছক শব্দ মানতে রাজি নন আতাহার। এর তাৎপর্য কতটা বড়, ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, ‘শব্দটি আমরা সব সময় ব্যবহার করতে পারি না। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ কিংবা পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ৪-১ করলেও এ শব্দ ব্যবহার করা যায় না। যখন সিরিজের প্রতিটি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে হারাতে পারি, তখনই এ শব্দটি ব্যবহার করতে পারি। ফলে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শব্দ। এ শব্দ ব্যবহারের জন্য অনেক ভালো খেলতে হয়। ভালো খেলার সঙ্গেই তো কেবল এ শব্দের যোগ।’