ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫, ০৬:৪৪ এএম
দারুণ অবস্থায় এখন আছে নিউজিল্যান্ড। আর তাদের কারণেই বিশ্বকাপের আগেই প্রস্তুতি ম্যাচে বড় এক ধাক্কা খেল এই বিশ্বকাপের ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৪ রানের হারের লজ্জা উপহার দিলো কিউইরা। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৩১ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড। দুটি ফিফটি ও মাঝারি কয়েকটি ইনিংসে তারা ভালো সংগ্রহই দাঁড় করায়। জবাবে, শুরু থেকেই বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে পিছিয়ে পড়ে আফ্রিকানরা। ম্যাচের কোনো পর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি তারা। পরিণতিতে বড় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ৪৪.২ ওভারে ১৯৭ রানে অলআউট হয় তারা।
৩৩২ রানের চ্যালেঞ্জ ছিলো সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দল তা তাড়া করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল, কিছুই বুঝি বুঝতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা। ট্রেন্ট বোল্টের আঘাতে ৩১ রানে ৪ উইকেট হারানো দলে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা। এরপর ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সেরা ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে তখন ধূকতে থাকে আফ্রিকানরা। জেপি ডুমিনি ও ফিল্যান্ডার এরপর একটা কার্যকর জুটি গড়েন। সপ্তম উইকেটে তারা গড়ে তোলেন ১২৪ রানের জুটি। এই জুটিটা না হলে আরো বড় লজ্জায় পড়তে হতো। ডুমিনি ৮০ রান করেন। তিনি বোল্টের আরেকটি শিকার হবার পর দ্রুতই শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। আর লড়াই করতে পারেনি তারা। ৫৭ রান করেছেন ফিল্যান্ডার।
নিউজিল্যান্ডের ৯ ব্যাটসম্যানই দুই অংকের রান করলেন তার আগে। ফিফটি করেছেন দুজন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৩১ রান করে কিউইরা। এই বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা দারুণ ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেছেন।
ওপেনার গাপ্তিল দলের ৫৭ রানের সময় আউট হয়েছেন পার্নেলের বলে। এরকমই মাঝারি কিছু জুটি তৈরি করে এগিয়েছে নিউজিল্যান্ড। অন্য ওপেনার অধিনায়ক ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম ৪৫ বলে করেছেন ৫৯ রান। তার রান ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ইনিংস সর্বোচ্চ রান করেছেন কেন উইলিয়ামসন। ম্যাককালাম ও উইলিয়ামসন ৭০ রানের জুটি গড়েছেন। ব্র্যান্ডনের বিদায়ের পর ফিফটি করেছেন উইলিয়ামসন। দলের ১৮০ রানের সময় ৫৩ বলে ৬৬ রানের ইনিংস শেষ করে ফিরেছেন উইলিয়ামসন। এছাড়া ৪১ রান করেছেন রস টেলর। ইলিয়ট করছেন ২৪ রান। ৩৩ রান করেছেন ন্যাথান ম্যাককালাম। ফিল্যান্ডার, অ্যাবট ও পার্নেল ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ডুমিনি ও ফাঙ্গিসো ১টি করে উইকেট নেন।