Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ব্যাট-বলের লড়াই

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫, ০২:০০ পিএম


শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ব্যাট-বলের লড়াই

 

বছর, মাস, দিন পেরিয়ে এখন কয়েক ক্ষণের অপেক্ষা মাত্র। আবার একদিক থেকে বলতে গেলে অপেক্ষার প্রহর শেষ । কারণ বেজে উঠেছে বিশ্বকাপের দামামা। মাঠের লড়াইটা শুরু হতে হয়তো আরো কয়েক ঘণ্টা বাকি। কিন্তু বিশ্বকাপ ক্রিকেট এরই মধ্যে রং ছড়াতে শুরু করেছে বিশ্বময়। গতকালই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন এবং নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আকাশে যে আতশ বাজির আলোর বিচ্ছুরণ ঘটেছিল তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। আতশবাজির ঝলকানি আরো যেন জানিয়ে দিল অপেক্ষার প্রহর শেষ।

এবার উৎসবে মাতার পালা। ক্রিকেট উম্মাদনায় মেতে উঠো বিশ্ব। লড়াই শুরু হয়ে গেল বলে। আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠলো ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১১ তম আসরের পর্দা। আর এবারই ভিন্ন এক রূপে উদ্বোধন করা হলো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বেশিরভাগ আসরই বসেছে একাধিক দেশে। কিন্তু এবারই প্রথম দুই দেশে একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আগেই বলা হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপ হবে সবদিক থেকে বৈচিত্রময় এক বিশ্বকাপ। আর সে বৈচিত্রের প্রথম পর্ব দেখল ক্রিকেট বিশ্ব গতকাল। ২০১১ সালের ১ এপ্রিল ভারতের মুম্বাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিভে যাওয়া বিশ্বকাপ বাতি কাল জ্বলে উঠবে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের হ্যাগলি ওভার স্টেডিয়ামে। একই দিনে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও শুরু হবে একটি ম্যাচ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানের কারণে বিশ্বকাপের শুরুটা হবে নিউজ্যিলান্ডে। তবে ময়দানি লড়াই শুরুর আগে গতকাল দুই দেশের এই দুই শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বকাপের নয়নাভিরাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের সিডনি মায়ার মিউজিক বোলে বিশ্বকাপের উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান ওয়ালি অ্যাডওয়ার্ডস। এরপর শুরু হয় আতশবাজি, গান, আর নানা রকম ডিসপ্লে। এর মধ্যে আকষর্ণীয় ছিল রোবট আকৃতির এক বড় ব্যাটসম্যান। যা পেছন থেকে মূলত নিয়ন্ত্রণ করেছে কলাকুশীলরা। ধীরে ধীরে রান নেয়া, ছক্কা হাঁকানোসহ নানা রকম শটই খেলেছে ব্যাটসম্যান। অনুষ্ঠানে বৈচিত্র আনতে কমতি ছিলনা আয়োজনের। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ১৪টি দলের থিম সং পরিবেশন করা হয়ে অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে। বর্ণিল এ অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মাঠে প্রবেশ করেণ অংশগ্রহণকারী ১৪ টি দলের অধিনায়ক। আলো ঝলমলে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বকাপের সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা। ক্রিকেটের রথী-মহারথীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল এ অনুষ্ঠান। আর এ অনুষ্ঠানে সুরের মূর্ছনায় মোহাবিষ্ট করেন পপতারকা জেসিকা হিলডা মাওবো, টিনা এরেনাসহ আরও অনেকেই। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র। তারপর লাল-নীল-সবুজ-বেগুনি অজস্র আলোর ঝলকানি আর আতশবাজির ভেল্কিতে মুগ্ধ হন আগত দর্শকরা।

সময়ের ব্যবধানের কারণে এর আগে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ব্লাক ক্যাপসরা নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্যে পর্দা ওঠানোর চেষ্টা করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের তিন দিকপাল কিংবদন্তি রিচার্ড হ্যাডলি, সাবেক অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং এবং বর্তমান অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি সব খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে একটি স্পেশাল ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয় পর্দায়। সংগীত পরিবেশন করে সবার মন মাতান সোল থ্রি মায়ো, জিনি ব্ল্যাকমোর, হেইলে ওয়েস্টেনের মতো তারকা শিল্পীরা। সঙ্গে আকাশ আলো করা আতশবাজিতো ছিলই।