Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

ধোনিরা কোয়ার্টার ফাইনালে

মার্চ ৬, ২০১৫, ০২:০৫ পিএম


ধোনিরা কোয়ার্টার ফাইনালে


আতঙ্কের একটা শিরশিরে অনুভূতি ভারত শিবিরে বইয়ে দিয়েছিলেন ক্যারিবীয় বোলাররা। আচমকাই প্রশ্নটা উঠে এসেছিলো। 'হোলি'র দিনে ভারতের রং মুছে দেবে না তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ? সেই প্রশ্নটার জন্ম হলো বটে। সেই সাথে অপমৃত্যুও হলো। বলা ভালো, অপমৃত্যু হলো এমএস ধোনির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে। ভারত নামের নৌকাটার নাবিক হয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে গিয়ে থামেন ধোনি। সেই সাথে বিশ্বকাপে টানা চার জয়ে ভারত পৌঁছে যায় কোয়ার্টার ফাইনালেও। ৩৯.১ ওভারে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া।

পার্থে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে দেখেছে পেসারদের কীর্তি। যেখানে শর্ট বল খেলতে সমস্যা। সমস্যা একটু বাড়তি বাউন্সেও। এর সাথে অল্প স্বল্প সুইং যোগ হলে তো কথাই নেই। ক্যারবীয়দের যে অস্ত্রে ১৮২ রানে থামিয়েছিলো ভারত, সেই অস্ত্রই আবার প্রয়োগ হলো ভারতীয় ইনিংসে। ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তো বিপদেই ছিলো তারা। ধোনি যখন ক্রিজে আসেন তখন ৪ উইকেট হারিয়ে হাসফাস করছে দল। সেই অবস্থায় রায়নাও টিকতে পারেনি।

এই উইকেটে টিকে গেলে রান পাওয়া যায়। উচ্চাভিলাসী হলে আত্মহত্যা করতে হয়! ভারতের শীর্ষ ব্যাটসম্যানরা অবশ্য উচ্চাভিলাসী না হয়েই উইকেট বিসর্জন দিয়ে এসেছেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারছিলেন না তারা। কিন্তু ধোনি দেখিয়েছেন কেন তাকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার মাস্টার বলা হয়। কিভাবেই বা এই উইকেট থেকে রান তুলতে হয়। জয় তুলে আনতে হয়। জুটি তেমন হয়নি। ধাওয়ান ও রোহিত মিলে ১৬ রান দিয়ে চলে গেছেন উইকেটের পেছন দিকটায় ক্যাচ দিয়ে। ২ উইকেট নেই ২০ রানে। এরপর কোহলি আর রাহানের ৪৩ রানের জুটি হয়েছে। আর জুটি হয়েছে ধোনির সাধে অশ্বিনের। তাদের অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটের জুটি ৫১ রানের। ইনিংস সর্বোচ্চ।  

ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৫ রান আবার ধোনির। ৫৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় গড়েছেন ইনিংসটা। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান কোহলির। ৩৩। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকে। রায়নার ২২ রান এর পর। অশ্বিন ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয়ে রেখেছেন বড় ভুমিকা। টেলর ও রাসেল নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে পার্থের ওয়াকায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮৫ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমন বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে ১৮২ রান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব জেসন হোল্ডারের। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা অধিনায়কের ৫৭ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস ক্যারিবীয়দের বড় ধরনের লজ্জায় পড়তে দেয়নি।

যাঁকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি হৈ-চৈ হচ্ছিল, সেই ক্রিস গেইল বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দুবার ক্যাচ হতে হতেও বেঁচে যাওয়া বিশ্বকাপের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ রান।

একশর কমে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়লেও ড্যারেন স্যামির (২৬) সঙ্গে ৩৯ ও জেরম টেলরের (১১) সঙ্গে ৫১ রানের দুটি ভালো জুটি গড়ে দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দিয়েছেন হোল্ডার। তাঁর ৬৪ বলের অধিনায়কোচিত ইনিংসটা সাজানো চারটি চার ও তিনটি ছক্কায়।

ভারত : রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মোহিত শর্মা, মোহাম্মদ সামি ও উমেশ যাদব।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ডোয়াইন স্মিথ, ক্রিস গেইল, মারলন স্যামুয়েলস, দীনেশ রামদিন, লেন্ডল সিমন্স, জোনাথন কার্টার, ড্যারেন স্যামি, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, কেমার রোচ ও জেরম টেলর।