Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের টানা পঞ্চম জয়

মার্চ ৮, ২০১৫, ০৫:৩০ এএম


বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের টানা পঞ্চম জয়


নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে আফগানিস্তানের ব্যাটিংটা খুব খারাপ হয়নি। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৪৭.৪ ওভারে ১৮৬ রানে অল আউট হয়েছে তারা। আফগানরা নিউজিল্যান্ডকে হারাবে এমনটা ভাবে না কেউ। প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে আসা দলটি প্রথমে চেষ্টা করেছে ৫০ ওভার খেলতে। তা সম্ভব হয়নি ড্যানিয়েল ভোট্টোরি, ট্রেন্ট বোল্ট, কোরে অ্যান্ডারসনের কারণে। ৩০০ উইকেটের মাইলফলক পার হওয়া ভেট্টোরি নিয়েছেন ৪ উইকেট। হয়েছেন ম্যাচের সেরা। তিন উইকেট বোল্টের। দুই উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। ১৮৭ রানের টার্গেট তাড়া করে জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। ৬ উইকেটে জিতেছে তারা ৩৬.১ ওভার ব্যাট করেই। বিশ্বকাপের পাঁচ ম্যাচের প্রত্যেকটিতে জিতলো নিউজিল্যান্ড। এখন শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাকি তাদের।

ব্যান্ডন ম্যাককালামের স্বাভাবই মেরে খেলা। যতক্ষণ উইকেটে থাকবেন, প্রতিপক্ষ বোলারদের বেধড়ক পেটাবেন। এই তার চরিত্র। এদিনও তাই শুরু করলেন। দেখতে না দেখতে তার রান হয়ে গেল ৪২। ১৯ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪২। আর ওই রানেই এদিন থামতে হলো তাকে। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক নবী বিপজ্জনক ম্যাককালামকে বোল্ড করেছেন। মার্টিন গাপ্তিল রান পাচ্ছিলেন না তেমন। এবার পেয়ে গেলেন ফিফটি। কিন্তু তারপর আর টিকতে পারলেন না। রান আউট হয়ে ফেরার সময় তার রান ৫৭। কেন উইলিয়ামসন সুযোগ পেয়েছিলেন চমৎকার কিছু করার। কিন্তু গাপ্তিলের আগে তিনি শাপুরের শিকার হযেছেন ৩৩ রান করে। রান আউটের শিকার হয়েছেন ইলিয়টও (১৯)। টেলর ধীরে সুস্থে খেলে ২৪ রানে অপরাজিত থেকে গেছেন।

এদিন ব্যাট করতে নেমে আফগানরা শুরুতেই বিপদে পড়ে। ৬ রানে তারা হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই বোলিংয়ে এসে আঘাত হানেন ভেট্টোরি। আসলে দুই প্রান্ত থেকেই আঘাতটা এসেছে। এক প্রান্ত থেকে বোল্ট উইকেট নিয়েছেন। অন্য প্রান্তে ছিলেন ভেট্টোরি। আহমাদি ও স্তানিকজাইকে তুলে নেন বোল্ট। আর আঘাতের পর আঘাতে আফগানদের বিপর্যস্ত করেছেন ভেট্টোরি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। তাতে ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারানো দলে পরিণত হয় আফগানরা। হ্যটট্টিকের সুযোগ পেয়েছিলেন ভেট্টোরি। হয়নি তা। কিন্তু প্রতিপক্ষকে চরম বিপদে ফেলেছেন।

কিন্তু ৫৯ রান থেকেই আবার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লেখেন সামিউল্লা শেনওয়ারি ও নাজিবুল্লা জারদান। এই দুই ব্যাটসম্যান মিলে হতাশ করতে থাকেন কিউই বোলারদের। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাট করেছেন তারা খুব সতর্ক হয়ে। ঝুঁকি নেন নি। তাই বলে ছক্কা মারার সুযোগ পেলে তা ছাড়েননি তারা। দুজনেই করেছেন ফিফটি। দুজনে মিলে দলকে নিয়ে গেছেন ১৪৫ রান পর্যন্ত। ৮৬ রানের জুটি হয়েছে সপ্তম উইকেটে। আর এই জুটিতেই নিজেদের সম্মান বাঁচিয়েছে আফগানিস্তান। ১১০ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৪  রান করেছেন শেনওয়ারি। আর ৫৬ বলেই ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেছেন নাজিবুল্লা। দল আর বলার মতো রান পেয়েছে নাওরোজ মঙ্গল (২৭) ও হামিদের (১৬) ব্যাট থেকে। এই চার ব্যাটসম্যান ছাড়া আফগানদের অন্য কেউই দুই অংকে পৌঁছাতে পারেন নি।