Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

৩৪ বছরে পা রাখলেন সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক

মার্চ ২৪, ২০২১, ০৫:১০ এএম


৩৪ বছরে পা রাখলেন সাকিব

৩৪তম জন্মদিনে ভক্ত-সমর্থকদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের দীর্ঘায়ু কামনা করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সাকিব-শুধু একটি নাম নয়, একটি ব্র্যান্ড। যে ব্র্যান্ড বিশ্বজুড়ে চিনিয়েছে বাংলাদেশকে। লাল-সবুজের পতাকা উঁচু করে যিনি বহুবার গর্বে ভাসিয়েছেন কোটি সমর্থককে। তিনিই দেখিয়েছেন বাংলাদেশের কোনো একজন ক্রিকেটারও হতে পারেন বিশ্বতারকা।

সাকিব আল হাসান-সব্যসাচী এক ক্রিকেটার, যার রেকর্ডবুকের এক একটি পাতা বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক একটি ইতিহাস। পরিসংখ্যান কিংবা দলের জয়ে অবদান, সবকিছুতেই সাকিব অনন্য, অবিশ্বাস্য!

শুধু কি মাঠে? মাঠের বাইরেও নয় কী? হ্যাঁ, সাকিব মাঠে যেমন বুক চিতিয়ে লড়তে জানেন, মাঠের বাইরেও। তিনি দিন-দুনিয়ার তোয়াক্কা করেন না। কে কি ভাবল, তাতে থোড়াই কেয়ার। তিনি কী ভাবছেন, সেটিই সাকিবের কাছে বড়।

মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে, তিনি সবর্দাই থাকতে চান পাদপ্রদীপের আলোয়। কখনও ‘সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’ থেকে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে পান প্রশংসা, কখনওবা কোনো ভক্তের মোবাইল ভেঙে বা হুটহাট কারো বিরুদ্ধে মুখ খুলে কুড়ান সমালোচনা।

সাকিব তো এমনই। আর দশজন মানুষের থেকে আলাদা। ক্রিকেট মাঠেই দেখুন না! হয়তো কোনো এক ম্যাচে ব্যাটিং সহায়ক পিচ পেয়ে ব্যাটসম্যানরা দুমড়ে মুচড়ে ফেলছেন বোলারদের। সব বোলারের নাভিশ্বাস উঠছে। এমন জায়গায় দাঁড়িয়েও সাকিবই কেবল দারুণ বোলিং করে গেলেন। কিভাবে?

তার চিন্তাটা যে আর দশজনের থেকে আলাদা। ক্রিকেট তিনি সবসময় শরীর দিয়ে খেলেন না, খেলেন মাথা দিয়ে। সেটা ব্যাটিং হোক কিংবা বোলিং। তাইতো আধুনিক ক্রিকেটের সফলতম এক অলরাউন্ডার সাকিব, বিশ্বের একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে যার আছে তিন ফরমেটেই এক নম্বর হওয়ার রেকর্ড।

এক নম্বর হবেনই বা কেন? সাকিবের ক্রিকেট মেধা যে দুর্দান্ত। ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? আইপিএলে খেলতে গিয়ে তেমন সুযোগই পেলেন না মাঠে নামার। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, প্রস্তুতির ঘাটতি এবার বিশ্বকাপে সাকিবকে ভোগাবে। কিন্তু মূলমঞ্চে দেখা গেল অন্য কিছু।

সাকিব বরং ব্যাটে-বলে সবাইকে চমকে দিলেন। ৬০৬ রানের সঙ্গে নিলেন ১১ উইকেট। জানেন কি, একটি বিশ্বকাপে ৬০০ রান এবং ১০ উইকেট পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত তিনিই!

শুধু তাই নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের সঙ্গে ৫০০-এর বেশি উইকেট শিকার করা মাত্র তিনজন ক্রিকেটারের মধ্যে একজন এই সাকিব। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ছোট ছোট আরও কত রেকর্ড যে আছে, সেগুলো গুনতে গেলেও সময় লাগবে!

গুনতে না পারলেও কিছু স্মরণীয় স্মৃতি ভক্তদের মনের মধ্যে অমলিন থাকবে চিরকাল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ উইকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ ৮৪ রান করে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ এনে দেয়া কিংবা ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রথম টেস্ট জয়ের স্মৃতি। সবকিছুতেই যে ছিল সাকিবের জাদুমাখা হাতের ছোঁয়া।

আমারসংবাদ/এমএস