Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

ক্যারিয়ারসেরা ৭৫ রানের গল্প শোনালেন তাসকিন 

স্পোর্টস ডেস্ক

জুলাই ৯, ২০২১, ০৯:৩০ এএম


ক্যারিয়ারসেরা ৭৫ রানের গল্প শোনালেন তাসকিন 

এ যেন এক রূপকথার গল্প। ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলের নবম উইকেটে ১৯১ রানের জুটি! নাহ, ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়া নয়; বাংলাদেশের ক্রিকেটেই ঘটেছে এই ঘটনা। যার দুই নায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর তাসকিন আহমেদ।

১৬ মাস টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে থাকা মাহমুদউল্লাহ তো অপরাজিত ১৫০* রানের ইনিংস খেলে সব অপমানের জবাব দিয়েছেন। আর তাসকিন আহমেদ খেলেছেন ক্যারিয়ারসেরা ৭৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। কীভাবে দুজন ব্যাট করেছেন- সেই গল্পই শোনালেন তাসকিন।

বিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় এই তরুণ পেসার বলেন, 'আজকে (গতকাল) এটাই আমার মাথায় ছিল, দলের জন্য কিছু করতে হবে। যেহেতু রিয়াদ ভাই ক্রিজে ছিলেন, টেলএন্ডার হিসেবে আমার মূল লক্ষ্যই ছিল তাকে সহায়তা করা। তিনি আমাকে কথা বলে, বলে খেলাচ্ছিলেন। মূল লক্ষ্য ছিল স্টাম্পের বলটা যেন দেখে খেলা হয়। রিয়াদ ভাই বারবার সেটা মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন। আমি আমার জোনে যখনই বল পেয়েছি, মারার চেষ্টা করেছি, ওগুলো বাউন্ডারি হয়েছে। তবে আমি দলের জন্যই খেলার চেষ্টা করেছি।'

তাসকিন বলেন, 'প্রথম দিনের প্রথম সেশন ছাড়া পরের দিকের উইকেট অনেক ভালো হয়ে গিয়েছিল। রিয়াদ ভাই সব সময় বলছিলেন, উইকেট আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাচ্ছে, তো রান করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেন বোলারদের হেল্প হয়। ওইটাই মাথায় ছিল। রিয়াদ ভাই বলছিল, উল্টা-পাল্টা না খেলার জন্য, সোজা ব্যাটে খেলার জন্য। তো আমিও সেটাই অনুসরণ করছিলাম। যেহেতু আমি বোলার, মাঝে মধ্যে হয়তো আমার মেরে দিতে মন চাইতে পারে। তো উনাকে সঙ্গ দেওয়ার কথা উনি বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন এবং সোজা ব্যাটে খেলার উপদেশ দিচ্ছিলেন। সেটাই অনুসরণ করেছি।'

তাসকিনের রান ৭০ হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, এখান থেকে সেঞ্চুরিও সম্ভব, 'এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার সেরা ছিল ৩৩। ৪০ হওয়ার পর থেকে রিয়াদ ভাই বলছিলেন, "এখন কোনো বাজে শট না। ফিফটির কাছাকাছি, সোজা ব্যাটে খেল।" ফিফটি হওয়ার পর আমার ৭০ পার হলো তখন উনি বলছিলেন, "দেখ সোজা ব্যাটে খেলতে থাকলে, একশও হতে পারে।' তবে উনি বারবার বলছিলেন, পরের বলটায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য। আমি তো অনেক ধরনের শট জানি না। সব সময় চেষ্টা করছিলাম, স্টাম্পের বলটা ডিফেন্স করতে।'

তাসকিন আরও বলেন, 'কাভার ড্রাইভসহ যেগুলো পাচ্ছিলাম সেগুলো করে রান করার চেষ্টা করছিলাম। কারণ, যেহেতু আমার অপশন কম। সেগুলোতেই অনড় থাকার চেষ্টা করছিলাম। যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আর কিছু রান হলে বিশ্ব রেকর্ড এতো, এটা জানা ছিল না। তবে যখন জুটি দেড়শ রানের হয়ে গিয়েছিল তখনই ভালো লাগছিল। রিয়াদ ভাই কয়েকটা টেস্টে দলে ছিলেন না। তারপরেও উনি অসাধারণ একটা ইনিংস খেললেন। আমার খুব ভালো লাগছিল যে, আমি রিয়াদ ভাইকে সহায়তা দিতে পারছি লম্বা সময় ধরে।'

আমারসংবাদ/এমএস