Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

আশা জাগিয়েও হতাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ২৪, ২০২১, ০১:৩৫ পিএম


আশা জাগিয়েও হতাশা

আশা জাগিয়েও হতাশার দেখা পেল টাইগাররা। চরিথ আসালাঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কাছে কোনো পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ। 

রোববার (২৪ অক্টোবর) আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টাইগারদের দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হাতেই রেখেই জয় পেল লঙ্কানরা। 

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারান লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরা। গ্রুপপর্বে একাদশে জায়গা না পাওয়া নাসুম সুপার টুয়েলভে এসেই দেখালেন চমক। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড করে ফেরালেন লঙ্কান ওপেনারকে।

এরপর মাঠ নেমে দারুণ ব্যাট করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় নিশাকা ও আসলাঙ্কা। ৪৫ বলে ৬৯ রান করা ভয়ঙ্কর এই জুটি ভাঙেন সাকিব। বোল্ড করে নিশাকাকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বনে যান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। দুই বল পরেই স্পিন যাদু দেখিয়ে সদ্য মাঠে নামা আভিস্কা ফার্নান্দোকে ফেরান বাংলাদেশি এই তারকা ক্রিকেটার।  

পরের ওভারেই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ভয়ঙ্কর হাসারাঙ্গাকে ফেরান সাইফউদ্দিন। ৬ রান করে সাঝঘরে ফিরেন তিনি। এরপর মাঠে নেমে আসলাঙ্গার সঙ্গে জুটি বাঁধেন রাজাপাকশা। দুর্দান্ত ব্যাট করে ৩২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন আসলাঙ্কা। তার সঙ্গে রাজাপাকশার ঝড়োগতির ব্যাটে জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। শেষদিকে এসে নাসুমের বলে বোল্ড আউট হন এ ব্যাটার। ৩ ছয় ও ৩ চারে ৩১ বল খরচায় ৫৩ রান করেন তিনি। এরপর একাই লড়ে যাওয়া আসলাঙ্কা শেষ বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত ব্যাট করা আসলাঙ্কা ৫ ছয় ও ৫ চারে ৪৯ বল খরচ করে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট পান সাকিব ও নাসুম। বাকি উইকেটটি পান সাইফউদ্দিন।

এর আগে আরব আমিরাতের শারজাহতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই উইকেট হারান লিটন। লাহিরু কুমারার বলে শানাকার হাতে ক্যাচ তুলে উইকেট হারান তিনি। ব্যক্তিগত ১৬ রান করে সাঝঘরে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি সাকিব আল হাসান। করুনারত্নের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানে উইকেট হারান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের বিদায়ের পর নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। পুরোনো রূপে ফিরে ব্যাটে আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। ৪৪ বলে অর্ধশতক তুলে নেন নাঈম। বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। এরপর অবশ্য ভিনুরা ফার্নান্দোর বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৬ চারে ৫২ বলে ৬২ রান করে সাঝঘরে ফেরেন এই ওপেনার।  

নাঈম ফিরলেও দুর্দান্ত ব্যাট করে অর্ধশত তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। ৩২ বলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম অর্ধশতকের দেখা পান তিনি। এক বল পরেই উইকেট হারান আফিফ হোসাইন। সিঙ্গেল রান নিতে দৌড় শুরু করেও ক্রিজে ফিরতে চেয়েছিলেন আফিফ, তবে বোলার কুমারার সরাসরি থ্রো স্টাম্পে আঘাত করেছে এর আগেই। ৭ রান বিদায় নেন তিনি। এরপর মাঠে নেমে মুশফিককে সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ। শেষদিকে কয়েকটি দুর্দান্ত শট খেলে ২ ছয় ও ৫ চারে ৩৭ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ২ চারে ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও।

আমারসংবাদ/এমএস