Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

হোয়াইটওয়াশের পর যা বললেন মাহমুদউল্লাহ

নভেম্বর ২২, ২০২১, ০১:৫০ পিএম


হোয়াইটওয়াশের পর যা বললেন মাহমুদউল্লাহ

সোমবার (২২ নভেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তান জিতেছে  ৫  উইকেটে। বাংলাদেশের করা ১২৪ রান শেষ বলে পেরিয়ে যায় তারা। এতে তিন ম্যাচ সিরিজের সবগুলো হেরে হোয়াইটওয়াশড হলো লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

শেষ ম্যাচটি হয়েছে রুদ্ধ্বশ্বাস উত্তেজনার। পরাজয় এসেছে একেবারে শেষ বলে। এমন পরাজয় নিয়ে টাইগার ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ বললেন, 'কিছুট হলেও হার্টব্রেকিং। খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশতঃ হয়নি।'

অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে এই সিরিজের পার্থক্য নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'শেষ দুই হোম সিরিজ আর এই সিরিজের যদি তুলনা করতে যাই, তাহলে উইকেট অপেক্ষাকৃত ভালো ছিল।' বাংলাদেশের আজ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মোহাম্মদ নাঈম শেখ। সমস্যা হলো, ৪৭ রান করতে তিনি খরচ করেছেন ৫০ বল! এই ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে অবশ্য সমস্যা দেখেন না অধিনায়ক, 'ওই সময় আমার মনে হয় পার্টনারশিপটা জরুরি ছিল। নাঈম ভালো ব্যাটিং করেছে। আফিফ আর নাঈমের পার্টনারশিপটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।' 

শেষ ম্যাচে সাইফ হাসানকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা টিম ম্যানেজম্যান্ট ভালো বলতে পারবে। আমরা শামীমকে একটা সুযোগ দিতে চেয়েছি এবং আমি মনে করি, শামীম আজ ভালো ব্যাটিং করেছে।'

টানা দুই সিরিজ জয়ের পর বিশ্বকাপ আর পাকিস্তান সিরিজে ব্যর্থতা...। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'আসলে যদি দুই-একটা ম্যাচ জেতা যেত, দলের আত্মবিশ্বাসের লেভেলটা আরও ভালো থাকত। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময় আমাদের ড্রেসিংরুমটা খুব উৎফুল্ল ছিল। আর ম্যাচ হারলে সব টিমমেটেরই খারাপ লাগে। অনেক সন্দেহ তৈরি হয়। আমার মনে হয়, ছেলেরা সবাই কষ্ট করেছে। নিজেদের উজার করে দিয়েছে। জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফলাফলটা আমাদের ঘরে আসেনি।'

এই হোম সিরিজে পঞ্চপাণ্ডবের মাঝে মাত্র একজন খেলেছেন। অপেক্ষাকৃত কম সিনিয়রদের মাঝে সৌম্য-লিটন বাদ পড়েছেন। দল গড়া হয়েছে তরুণদের নিয়ে। এই তরুণের ব্যাপারে আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ, 'অবশ্যই, অনেক নতুন ছেলে ছিল। সাইফের অভিষেক হয়েছে। আজ শহীদুলের অভিষেক হয়েছে। সে ভালো বোলিং করেছে। এটা তরুণদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ ছিল নিজেদের প্রমাণ করার। আরও কিছুটা সময় লাগবে (দল গোছাতে)। কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা সহজ না। বিশেষ করে তরুণদের জন্য। আমি আশা করি, তারা এটি শিখে নেবে এবং ভালো পারফর্ম করবে।'

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ:  ২০ ওভারে ১২৪/৭  (নাঈম  ৪৭ , শান্ত ৫, শামীম  ২২,আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সোহান ৪, শেখ মেহেদী ৫* বিপ্লব ৩;  নাওয়াজ ০/২, দাহানি ১/২৪, ওয়াসি ২/১৫, হারিস ১/৩২, ইফতেখার ০/১৩, উসমান ২/৩৫ )

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১২৭/৫ (রিজওয়ান ৪০, বাবর ১৯, হায়দার ৪৫, সরফরয়াজ ৬, ইফতেখার ৬, খুশদিল ০*, নাওয়াজ ৪*; শেখ মেহেদী ০/১৯, তাসকিন ০/১৬, নাসুম ০/২০, শহিদুল  ১/৩৩, বিপ্লব ১/২৬, মাহমুদউল্লাহ ৩/১০)

ফল: পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হায়দার আলি।

সিরিজ: পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য সিরিজ: মোহাম্মদ রিজওয়ান।

আমারসংবাদ/এআই