আমার সংবাদ ডেস্ক
মার্চ ২০, ২০২১, ১০:৪৫ এএম
মানুষের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্যেই সুখী থাকা। আর তাই ২০ মার্চকে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস বা বিশ্ব সুখী দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। ২০১২ সালের ২৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে এ দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বের একাধিক দেশ দিবসটি নানা আয়োজনে দিনটি পালন করে আসছে।
সুখ রহস্যাবৃত। কখনো বুঝা যায়, কখনো বুঝা যায় না। কখনো ধরা দেয়, কখনো ধরা দেয় না। বর্তমানে সুখী মানুষ খুঁজে পাওয়া সোনার পাথর বাটির মতো। সকলেই সুখী হতে পারে না। তবে সুখী হতে পয়সা লাগে না। নিজের ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই সুখী হওয়া সম্ভব। নিজের যতটুকু আছে তন্মধ্যে সন্তুষ্ট থাকলে, আনন্দ খুঁজে পেলে সুখী হওয়া কঠিন কিছু না।
তবে কীভাবে নিজেকে একজন সুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়?
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যার অধ্যাপক লুরি স্যান্তোস সুখী হওয়ার জন্য সহজ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
চলুন জেনে নেই সুখী হওয়ার পরামর্শগুলো----
পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে বেশি বেশি সময় কাটান
সাম্প্রতিক বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে চমৎকার সময় কাটানো গেলে সেটা মানুষকে প্রফুল্ল বা সুখী করে তোলে। যাদের আমরা পছন্দ করি, তেমন মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো অথবা ব্যক্তিগত ভালো সম্পর্ক ও সামাজিক যোগাযোগের ফলে মানুষের মধ্যে একটা আনন্দ এবং স্বস্তি তৈরি করে, যা আসলে তাদের ভালো থাকাকে আরো বাড়িয়ে তোলে।
সামাজিক মাধ্যমে কম সময় আর বাস্তব যোগাযোগ বৃদ্ধি
স্যান্তোস বলছেন, সামাজিক মাধ্যম অনেক সময় আমাদের মিথ্যা সুখের আবহ দিতে পারে, কিন্তু তাতে ভেসে না যাওয়ার মতো সতর্ক থাকতে হবে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে যে, যারা ইন্সটাগ্রামের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো বেশি ব্যবহার করেন, তারা সেসব মানুষের চেয়ে কম সুখী হয়ে থাকে, যারা ওইগুলো বেশি একটা ব্যবহার করেন না।
প্রাপ্তির তালিকা
অধ্যাপক স্যান্তোস শিক্ষার্থীদের এমন একটি তালিকা তৈরি করার জন্য বলেন, যেগুলোকে তারা নিজেদের জীবনে প্রাপ্তি বলে মনে করেন। এই তালিকা তৈরির কাজটি প্রতিদিন রাতে একবার হতে পারে বা অন্তত সপ্তাহে একবার করতে পারেন।
বেশি ঘুমান আর ভালো থাকুন
এখানে চ্যালেঞ্জটা হলো, প্রতি রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানো এবং সেটা হতে হবে সপ্তাহের সাতটি রাতেই। এই ব্যাপারে স্যান্তোস বলছেন, এই সাধারণ বিষয়টি অর্জন করা অনেকের কাছে অনেক কঠিন একটি বিষয় বলে মনে হয়।
ধ্যান
প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ধ্যান করুন, সপ্তাহের প্রতিটি দিন। স্যান্তোস বলছেন, যখন তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন, নিয়মিত ধ্যান তার ভেতর ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি করতো।
আমারসংবাদ/এডি