আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ৮, ২০২১, ১১:১৫ এএম
নিজের বাড়ি, নিজের শোবার ঘরই নিজের শান্তির আঁতুড়ঘর। সারাদিন কর্মব্যস্ততায় কাটানোর পর নিজের ঘরে শান্তির ঘুমই এনে দেয় স্বর্গের সুখ। । কিন্তু নিজের শোবার ঘরটি ঠিক কেমন রাখা উচিত তা অনেকেরই অজানা। জানেন কি, শোবার ঘর আপনার মানসিক শান্তির পেছনে অনেকটা গুরুত্ব রাখে।
তাই আপনার শোবার ঘর যাতে আপনার জীবনে নেগেটিভ বা নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে সেজন্য কিছু কাজ না করা উচিৎ।
চলুন জেনে নেই শোবার ঘরে কি কি করা উচিত নয়--
ক্যাকটাস রাখবেন না
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বলা হয় যে, বেডরুমে ক্যাকটাস বা অন্য কোনো কাঁটা গাছ রাখবেন না। কারণ বাস্তু মতে এতে সম্পর্কের শান্তি বিঘ্নিত হয়। ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে অন্য ফুল বা বনসাই বা অর্কিড ব্যবহার করুন।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমা করবেন না
নিজের বেডরুমকে যথাসাধ্য সাধারণ রাখুন। অযথা অতিরিক্ত আসবাবপত্র দিয়ে ঘর ভরিয়ে রাখবেন না। বিছানার উপর জামাকাপড়ের স্তূপ বা বই এর স্তূপ দিয়ে ভরিয়ে রাখবেন না। মনে রাখবেন এগুলোর জন্য ওয়ার্ড্রোব বা বুকশেলফ আছে।
ইলেট্রনিক গ্যাজেটকে না বলুন
ইলেট্রনিক গ্যাজেটকে চেষ্টা করুন বেডরুমের বাইরে রাখতে। কারণ আমরা জানি আজকের দিনে এই গ্যাজেট আমাদের সময় কতটা নষ্ট করে দেয়। ফোনে সব সময় মুখ গুঁজে থাকতে থাকতে নিজস্ব সময় আর জায়গাটুকুও যে কমতে থাকে, এটা আমাদের মনে থাকে না। তাই চেষ্টা করুন দিনের শেষটা যেন মোবাইল ফোন কেড়ে না নেয়।
এঁটো বাসন থাক ঘরের বাইরে রাখুন
অনেক সময় হোম ডেলিভারির খাবার প্যাকেট খুলে আমরা আলসেমিতে বেডরুমে এনেই খেতে থাকি। আবার কখনো চা বা কফি খেয়ে সেই কাপ ওখানেই ফেলে রাখি। এটা অস্বাস্থ্যকর এবং দৃষ্টিনন্দন নয়। খাবার পরে সেই প্লেট বা কাপ বা প্যাকেট বাইরে কিচেনে রেখে আসুন।
ধূমপান বা অ্যালকোহল বেডরুমে না
আপনি বিবাহিত হন বা অবিবাহিত, সঙ্গী থাকুক বা না, নেশা করার অভ্যাস বেডরুম পর্যন্ত না আনাই শ্রেয়। আমাদের অতিরিক্ত ডোপামিনের আরামের জন্য আমাদের অবচেতন মন সব সময় ওই নেশার দিকে ঝুঁকে থাকে। এই অভ্যাস হয়তো আপনার পছন্দের হলেও আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর পছন্দের নাও হতে পারে।
ভাঙ্গা কাঁচকে না বলুন
বাস্তু মতে, ভাঙ্গা কাঁচ হলো সম্পর্ক ভাঙার প্রতীক। তাই বিশ্বাস থাকুক বা না থাকুক, আপনার সম্পর্কের খাতিরে ভাঙ্গা কাঁচ বা ভাঙ্গা আর্শি না রাখা ভালো।
বেডরুমে টিভি নয়
যদি আপনি অবিবাহিত হন তাহলে হয়তো টিভি একটা সময় পর্যন্ত আপনাকে সময় কাটাতে সাহায্য করবে। কিন্তু বিবাহিত হলে আপনি কখনোই চাইবেন না একটা যান্ত্রিক মাধ্যমের বিনোদন আপনার অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে নষ্ট করুক। এছাড়াও অনেক সময় আমরা ঘুম আসছে না এই অজুহাতে টিভি চালিয়ে রাখি। এই স্বভাব আমাদের ঘুমানোর অভ্যাস অনেকভাবে পাল্টে দেয়।
পোষ্যকে রাখুন বাইরে
অনেকেই বলবেন যে, আমাকে ছাড়া আমার পোষ্য ঘুমাতে পারে না। কিন্তু এটা পরীক্ষামূলকভাবে সত্যি। আপনার রোজকার রুটিন আর আপনার পোষ্যর রোজকার নিয়ম এক না। আপনি নিশ্চয় চাইবেন না সারাদিনের ক্লান্তির পর আপনার ঘুম আপনার পোষ্যর মাঝরাতে ডাকাডাকি বা পায়চারিতে ভেঙে যাক।
অতিরিক্ত কৃত্রিম আলো
রুমে অতিরিক্ত আলো না রাখার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন আপনার ড্রইং রুম আর বেডরুমের মধ্যে তফাৎ থাকা জরুরি। অতিরিক্ত আলো যাতে আপনার শান্তি বিঘ্নিত না করে, সে দিকে লক্ষ্য রাখুন।
অফিসকে ঘরে আনবেন না
সারাদিন অফিসে কাজ করে বাড়িতে আমরা শান্তির জন্যে আসি। কাজের থেকে একটু হালকা হতে আমাদের বাড়িতে আসা। কিন্তু নিজের সঙ্গে সময় দিতেই হোক বা নিজের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে, অফিসের কাজের চাপ বেডরুম পর্যন্ত না আসতে দেয়াই ভালো। অফিসের কাজের পেপার বা ফাইল সামনে থাকলে অন্তরঙ্গ বা নিভৃত, কোনো মুহূর্তই আপনার জন্য শান্তির হবে না।
(তথ্যসুত্র- বোল্ডস্কাই)
আমারসংবাদ/এডি