Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

রমজানে সুস্থ থাকতে যে নিয়ম মানতে হবে

আমার সংবাদ ডেস্ক

এপ্রিল ২১, ২০২১, ০৭:০৫ এএম


রমজানে সুস্থ থাকতে যে নিয়ম মানতে হবে

চলছে রমজান মাস। রমজান মাসে অন্যান্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি ভাঁজা পোড়া খাওয়া যায়। কিন্তু ভাঁজা পোড়া খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই রমজান মাসে নিজেকে সুস্থ রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন।

চলুন জেনে নেই কী কী নিয়ম মানা প্রয়োজন রমজান মাসে--  

সেহরি করুন

রোজা করতে হলে সূর্য ওঠার আগে রোজার নিয়ত করে খাবার খেতে হবে। সেহরি কখনই বাদ দেওয়া যাবে না। মাথায় রাখবেন দিনে যে কোনো সময় আপনি একটু ঘুমাতে পারবেন। কিন্তু রোজার সময় আপনি কিছু পান করতে পারবেন না, এমনকি খেতেও পারবেন না। তাই সেহরির জন্য টেবিল আগেই গুছিয়ে রাখবেন। তাহলে রাতে উঠে খেতে খুব একটা কষ্ট হবে না।

স্বাস্থ্যকর সস জাতীয় কিছু খেতে পারেন

ফল এবং সবজির একটা বড় অংশ প্রায়ই খাওয়া হয় না। রেখে দেওয়া হয় এই বলে যে পরে খাবো। কিন্তু রমজান মাসে খাওয়ার সময়টা অনেক কম থাকায় সেগুলো বেশিরভাগ সময় রয়েই যায়। তবে ইফতারে কোনো স্বাস্থ্যকর সসের মাঝে ডুবিয়ে চাইলেই খেয়ে নিতে পারেন সেগুলো। এতে শরীরেরও ক্ষতি হলো না, খাবারও অপচয় হলো না।

বিকেলে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিন

বিশেষজ্ঞরা বলেন নিজেকে সতেজ করতে ১৫ মিনিটের আরামই যথেষ্ট। রোজা রেখে শরীর বিকেলে বেশি ক্লান্ত লাগে। তখন মোবাইলে অ্যালার্ম সেট করে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু অনেক লম্বা সময় ঘুমিয়ে থাকা যাবে না। এতে করে শরীর আরও বেশি খারাপ হয়ে যাবে।

চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া কমান

একদম সঠিক। চর্বি খাওয়া কমাতে হবে। কিন্তু একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না। অন্যথায়, মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী ইফতার থেকে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবে। চর্বি জাতীয় বলতে প্রধানত অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার, ভাঁজা, অথবা অতিরিক্ত মিষ্টি দেওয়া খাবারগুলোকেই বলা হচ্ছে।

ইফতারের পরে হাঁটুন

ইফতার করেই অনেকে শুয়ে পরেন। যা মোটেও ঠিক নয়। খাবার খেয়ে সাথে সাথে শুয়ে পরলে শরীরে মেদের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই ইফতার করে অবশ্যই বাইরে একটু হাঁটা উচিত।

তারাবীর নামাজ আদায় করুন

সব থেকে ভালো ব্যায়াম হলো নামাজ। নামাজের মাধ্যমে সব কিছু অর্জন করা যায়। একটা স্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্যও।

অনুসরণ করুন নবীজির একতৃতীয়াংশের সুবর্ণ নিয়ম

রমজানে মাসে এটা অবশ্যই পালনীয়। খাবারের একতৃতীয়াংশই আমাদের খাওয়া উচিত। এই পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এরপরে সমপরিমাণ জায়গা আমাদের পাকস্থলীর ফাঁকা রাখা প্রয়োজন। এতে আমাদের পাকস্থলী সুস্থ থাকে।

আমারসংবাদ/এডি