Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

লকডাউনে হাতের কাছে রাখবেন যেসব জিনিস

আমার সংবাদ ডেস্ক

জুন ৩০, ২০২১, ০৮:৩০ এএম


লকডাউনে হাতের কাছে রাখবেন যেসব জিনিস

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে আগামী ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

লকডাউনের সময় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। কিন্তু দেখা যায় বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের অনেকবার বাইরে বের হতে হয়। কারণ অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তবে আপনি চাইলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনি যদি আগেই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আগেভাগে সংরক্ষণ করে রাখেন তাহলেই আর হুটহাট আপনাকে বাইরে যেতে হবে না। 

চলুন জেনে নেই কোন জিনিসগুলো লকডাউনের সময় সংরক্ষণ করবেন-

খাবার সংরক্ষণ করুন

লকডাউনের আগেই শুকনো খাবার যেমন চাল, আটা, ময়দা, ডাল, ছোলা, চিড়া, মুড়ি ইত্যাদি অন্তত ১৪ দিনের জন্য সংরক্ষণ করুন। ক্যান বা টিনের কৌটাজাত খাবারও সংরক্ষণ করতে পারেন। ফল ও সবজি কিনে রাখুন অন্তত সপ্তাহ দুইয়ের জন্য। ধুয়ে, কেটে রাখলে ফ্রিজে এঁটে যাবে সহজেই।

এছাড়াও সকালে সহজ নাস্তা চাইলে ফ্রোজেন ফুড রাখতে পারেন। আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন মশলা রাখুন হাতের কাছে। জুস কিংবা দুধ কেনার আগে তার মেয়াদ দেখে কিনুন। ড্রাই ফ্রুটস রাখতে পারেন যেমন- খেজুর, বিভিন্ন বাদাম, কিশমিশ ইত্যাদি। চা-কফি পানের অভ্যাস থাকলে সেসবও রাখুন বাড়িতে।

ওষুধ সংরক্ষণ

এসময় খাবারের পরেই যে জিনিসটির বেশি দরকার হতে পারে, তা হলো ওষুধ। আপনি যদি নিয়মিত কোনো ওষুধ খেয়ে থাকেন, তবে সেসব ওষুধ কিনে এনে রাখুন। এছাড়াও ফার্স্টএইড বক্সে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম রেখে দিন। তবে মনে রাখবেন, কোনো ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয়। তাই নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে যাবেন না, বরং ওষুধ খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

শিশুর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র

শিশুর চাহিদা বড়দের মতো নয়। তাদের পছন্দের খাবারও তাই অনেকটা আলাদা। সামর্থ্য থাকলে এবং সম্ভব হলে তাদের পছন্দের খাবারগুলোও কিনে রাখুন। শিশুর জন্য দুধ, খাবার, ডায়াপারসহ তার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে রাখুন। এর বাইরে শিশু অপ্রয়োজনীয় কোনোকিছুর জন্য জিদ করলে তাকে বুঝিয়ে বলুন। 

স্যানিটাইজার কিনে রাখুন

সংক্রমণ প্রতিরোধে স্যানিটাইজার অন্যতম জরুরি পণ্য। বাড়িতে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার রাখুন। পুরো বাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক কিনে রাখুন। প্রয়োজনীয় সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট সবই রাখুন বাড়িতে। কারণ এখন বারবার বাইরে যাওয়া সম্ভব হবে না। এ ধরনের জিনিসগুলো অবশ্যই শিশুর নাগালের বাইরে রাখবেন। 

মাস্ক রাখুন সংগ্রহে

যদিও এখন বাইরে বের হওয়া যাবে না, তবে প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে যেকোনো সময়। অথবা বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলেও মাস্ক পরে থাকতে হবে সবাইকে। তাই মাস্ক কিনে রাখুন। অল্প কয়েকটি না রেখে বেশি করে কিনে রাখুন যেন মাস্কের ক্ষেত্রে সংকট দেখা না দেয়। মাস্ক ব্যবহারের পর নিয়ম মেনে তা পরিষ্কার করুন অথবা ফেলে দিন।

আমারসংবাদ/এডি