Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

ঢাকার প্রাণকেন্দ্রেই লাল শাপলা

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ১২:৫০ পিএম


ঢাকার প্রাণকেন্দ্রেই লাল শাপলা

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে বর্ষাকাল অন্যতম। এ সময়ে গোলাপী, লাল ও সাদা রঙের শাপলা দেখা মেলে বেশি। জাতীয় ফুলের রঙ সাদা হলেও লাল শাপলা মানুষকে আকর্ষিত করে বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব কাছেই আছে লাল শাপলার বাহার। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একপাশে রমনা কালী মন্দির। সেটির সঙ্গে লাগোয়া আছে একটি ছোট্ট ঝিল, যেখানে ফুটেছে অসংখ্য লাল শাপলা ফুল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসা দর্শনার্থীরা প্রতিদিনই এই লাল শাপলা দেখতে ভিড় করে ওই ঝিলে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন অপূর্ব সৌন্দর্য আছে, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। বর্ষার সময় যখন বিলের পানিতে শাপলা ফুল ফোটে, তখনও সেটি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

[media type="image" fid="142044" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

সাধারণত বর্ষা মৌসুমে খাল, বিল, ঝিল, দিঘী, নালা ও পুকুরে এমনকি জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মায় শাপলা।সৌন্দর্য, স্নিগ্ধতা ও ধর্মীয় অনুভূতি মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে মুগ্ধতা ছড়ানো ফুল- পদ্ম। কেউ কেউ বলবেন, পবিত্র পদ্ম। শুধু রঙ-রূপ নয়; আছে গুণও। পুষ্টিকর উপাদেয় খাবার থেকে শুরু করে রোগ নিরাময়ের ওষুধ কিংবা পছন্দের সুগন্ধি- পদ্মফুল এক অনন্য ভেষজ। এর ফুল, ফল, কাণ্ড, পাতা, বীজ কোনোটাই ফেলার নয়। আমাদের দেশে বর্ষা ও শরতে বিল-ঝিলে যত্ন-আত্তি ছাড়াই ফুটতে দেখা যায় গোলাপি বা সাদা পদ্মফুল।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জলাশয়ে হালকা গোলাপি ও সাদা পদ্মফুল জন্মে। বেশি দেখা যায় হালকা গোলাপি পদ্ম। সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, যশোর, জেলার বিভিন্ন বিল-ঝিলে প্রাকৃতিক পরিবেশে এসব পদ্ম দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন দিঘি বা পুকুরেও পদ্মফুল জন্মাতে দেখা যায়। মানুষের নানামুখী অত্যাচার ও আগ্রাসনে পদ্মবিলের পাশাপাশি পদ্মের সংখ্যাও কমে আসছে।

[media type="image" fid="142045" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

পদ্ম অগভীর জলাশয়ের কাদামাটিতে জন্মায়। গাছটি তার জীবনকালে জলাশয়ের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যায়।পুরোনো গাছ মারা গেলে ভাসমান শিকড় থেকে পরে নতুন গাছ জন্মায়।খুব দ্রুত সময়ে একটি পদ্মগাছ থেকে তা পুরো জলাশয়ে ছেয়ে যেতে পারে।

পদ্ম বীজ ও শিকড়ের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। খুব দ্রুত গাছ পেতে হলে বীজ দ্বারা গাছ উৎপন্ন করা যেতে পারে। তবে বীজ থেকে উৎপাদিত গাছে প্রথম বছর ফুল ফোটে না। অন্যদিকে শিকড় থেকে উৎপাদিত গাছে প্রথম বছরেই ফুল দেখা যাবে। মজার বিষয়, পদ্মবীজ দীর্ঘদিন ধরে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। উত্তর-পূর্ব চীনের একটি হ্রদের তলদেশ থেকে পাওয়া প্রায় ১৩০০ বছরের পুরোনো বীজ থেকে গাছ জন্মানো সম্ভব হয়েছে।

আমারসংবাদ/এএজে