দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ পছন্দ করে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০১:৩২ পিএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনোই উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ পছন্দ করে না। এজন্যই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সকল বাঁধা পেরিয়ে সেই পচাত্তরের খুনীদের বিচারের আওতায় এনে এবং একাত্তরের ঘাতকদের মোকাবিলা করে এ দেশ ও জাতিকে নিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পচাত্তরে হুঁচট খেয়েছিলাম, অবাকও হচ্ছিলাম যখন রাজাকার আল বদরদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেখেছিলাম। তারা (জিয়াউর রহমান) ও তার (খালেদা জিয়া) স্ত্রীর চক্রান্তে ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে রাজাকার ঘাতকদের বিচার বন্ধ রেখেছিলো। কিন্তু যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এলেন, এ দেশের মানুষ শাহস পেয়ছিলেন। তারা আবার ঘুরে দাঁড়াবার পথ খুঁজে পেয়েছিলো নেত্রীকে পেয়ে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচার এ দেশের প্রচলিত আইনেই হয়েছিলো উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো বানানো আইনে পচাত্তরের বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অনেক সদস্যদের হত্যার বিচার হয়নি বরং দেশের প্রচলিত আইনেই বিচার হয়েছে। এখনো যেসব খুনী বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন পিছিয়ে যাচ্ছিলাম তখন এই কমিটি সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ করে জাহানারা ইমাম সেই ঘাতক গোলাম আজমের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম আইন করে দাবি আদায় করেছিল।

বাঙালী সংস্কৃতির চর্চার গুরুত্ব উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি চর্চা যদি থাকে তাহলে আমরা পিছিয়ে যাবো না। বিশেষ করে আমাদের ভাটিয়ালী, মুর্শিদি, লালন গানের যে চর্চা সেটা ধরে রাখতে হবে। এগুলো নিয়ে বিদেশীরাও গবেষণা করেন। সুতরাং এসব গান আমাদের দেশের অর্জন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি আসিফ মুনীরের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট সাম্মানিক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেন্দ্র মজুমদার, শিক্ষাবিদ শহীদজয়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন  ইউসুফ, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস, সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন প্রমুখ।

কেএস