ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের গণকবরে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে গণকবর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা (সাংবাদিকরা) দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন। আমাদের দেশের বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি না কমালে কিছুই ঠিক হবে না। শহীদদের কবরেও দেখুন, ভালো মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে না।”
রায়েরবাজারে মোট কতজন শহীদ সমাহিত রয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখানে মোট ১১৪টি কবর আছে।”
এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘আগামীকাল গণহত্যার এক বছর পূর্তি। বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি কী?’ জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “বিচার প্রক্রিয়া চলছে। আমার অনুরোধ থাকবে, শহীদদের কবরের ইট নিয়ে যে অনিয়ম হচ্ছে, আপনারা তা প্রচারে আনবেন।”
তিনি আরও বলেন, “এখানে শতাধিক শহীদকে দাফন করা হয়েছে। এদের অনেককে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে তাদের শনাক্তকরণ নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। অনেক আত্মীয়-স্বজন আগে রাজি ছিলেন না, এখন অনেকে সম্মতি দিয়েছেন। সবার সম্মতি পেলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
ডিএনএ পরীক্ষার পাশাপাশি লাশগুলো কি পোস্টমর্টেম করা হবে—এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, “যেহেতু ডিএনএ হবে, সেহেতু পোস্টমর্টেমও করতে হবে। এটা ডাক্তারদের মাধ্যমে, একটি নির্ধারিত কমিটির তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করা হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “বেশ কিছু মামলার বিচার চলছে, আবার কিছু মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। পোস্টমর্টেম না হওয়ায় কিছু মামলার অগ্রগতি থমকে আছে, তবে সবকিছুই ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।”
ইএইচ