ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সামনে ছাত্র ফ্রন্টের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম

মার্কিন মদদে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে গণহত্যা পরিচালনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দমন- পীড়ন ও গণগ্রেপ্তারের করেছে মার্কিন প্রশাসন। এরই প্রতিবাদে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

মঙ্গলবার ( ৩০ এপ্রিল) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক নওশিন মোশতারী সাথী এবং প্রচার- প্রকাশনা সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম। বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি কমরেড সীমা দত্ত।

বক্তারা বলেন,“ ১৯৪৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হানাদার বাহিনী কর্তৃক অসংখ্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক গণহত্যার শিকার হয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত নিহত হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ এবং আহত হয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী  ফিলিস্তিনের বেসামরিক স্থাপনা, স্কুল - কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল এবং রোগীবাহী এম্বুলেন্সে পর্যন্ত হামলা করেছে। খাদ্য এবং পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এটি স্পষ্টত মানবাধিকারের লঙ্ঘন।”

বক্তারা আরো বলেন, “ মার্কিন মদদেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালাচ্ছে। গত ১৭ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠিত করে। আন্দোলন প্রায় ৪০ টির অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এটি ক্রমে ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ছে। এসব বিক্ষোভে অসংখ্য ইহুদি শিক্ষার্থী এবং তাদের সংগঠনও সাহসের সাথে অংশগ্রহণ করছে। আমরা বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সংগ্রামী অভিবাদন  এবং চলমান আন্দোলনের সাথে গভীর একাত্মতা ও সংহতি জানাচ্ছি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে। বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বহু শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রতিবাদ করায় বহু শিক্ষকও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মার্কিন সরকার এবং কলম্বিয়াসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে যেভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং নির্যাতন নামিয়ে আনল, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবি  করছি।”

বক্তারা আরো বলেন,“ আজ মার্কিনসহ অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মারণাস্ত্র তৈরি এবং গণহত্যার কাজে ব্যবহার করছে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এসব কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে– বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান - গবেষণা এবং কোন সম্পদকে ফিলিস্তিনে গণহত্যার কাজে।


বিআরইউ