দেশেই অ্যাসেম্বল করা প্রথম প্রোটন এক্স৭০–এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে র্যানকন কারস লিমিটেড। আজ (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রোটন বাংলাদেশের র্যানকন শোরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই কমপ্যাক্ট এসইউভিটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অটোমোবাইল শিল্পে যুক্ত হলো এক নতুন অধ্যায়—‘প্রাউডলি মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগলাইন নিয়ে বাজারে এলো প্রোটনের এই বিশ্বমানের গাড়ি।
গাড়িটি তৈরি হয়েছে গাজীপুরের কাশিমপুর, ভবানীপুরে অবস্থিত র্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায়। আজ থেকেই ঢাকার তেজগাঁও ও চট্টগ্রামের ষোলশহরের প্রোটন অনুমোদিত শোরুমে এটি পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি গাড়ির সঙ্গে থাকছে পাঁচ বছর বা ১,৫০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওয়ারেন্টি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে র্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রোটন এক্স৭০ অ্যাসেম্বল করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। প্রতিটি গাড়িতে আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখছি, যা দেশের অটোমোবাইল খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।’
সি-সেগমেন্টের এই এসইউভিটি প্রোটনের স্বতন্ত্র ‘ইনফিনিট উইভ’ গ্রিল, ১৯ ইঞ্চির স্টাইলিশ অ্যালয় রিম, প্যানোরামিক সানরুফ ও ডেলাইট রানিং ল্যাম্পসহ দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে তৈরি। এতে রয়েছে ২০০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং আইএইচবিসি হেডল্যাম্প ও অটো রেইন সেন্সিং ওয়াইপার, যা বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য কার্যকর।
গাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৫ লিটার টার্বোচার্জড টিজিডিআই পেট্রোল ইঞ্জিন এবং ৭ স্পিড ডুয়েল ক্লাচ ট্রান্সমিশন (ডিসিটি)। ম্যানুয়াল মোড সুবিধাও থাকছে, যা গিয়ার পরিবর্তনকে করে আরও দ্রুত ও মসৃণ।
গাড়ির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফিচার হচ্ছে এর টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, যেখানে "Hi Proton" বলেই ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে ফিচারগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আছে অনলাইন ন্যাভিগেশন, মিউজিক স্ট্রিমিং, ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা, কী-লেস এন্ট্রি, ৬টি ইউএসবি পোর্টসহ নানা স্মার্টফিচার।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রয়েছে অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম (ADAS), অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, অটোনোমাস ইমার্জেন্সি ব্রেকিং, ব্লাইন্ড স্পট ইনফরমেশন সিস্টেম এবং লেন ডিপারচার ওয়ার্নিং। এই প্রযুক্তিগুলো বাংলাদেশের জটিল ও অনিশ্চিত সড়ক ব্যবস্থায় বাড়াবে নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ।
র্যানকন কারস লিমিটেডের পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে, বিশেষ করে ভলভো ও লোটাসের সহযোগিতায় প্রোটন এক্স ৭০ উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক ডিজাইন নিয়ে এসেছে। প্রিমিয়াম এসইউভি এখন আর শুধু স্বপ্ন নয়—এটি আমাদের ঘরের তৈরি বাস্তবতা।’
প্রোটন এক্স ৭০-এর এই যাত্রা দেশের অটোমোবাইল শিল্পে স্থানীয় উৎপাদনের নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিআরইউ