ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আকস্মিকভাবে আমিন বাজার ল্যান্ডফিল পরিদর্শন করেছেন।
রোববার সকালে ল্যান্ডফিল পরিদর্শনের সময় আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বর্জ্যবাহী পরিবহন চালকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এ সময় তিনি সুষ্ঠু, নিরাপদ ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রশাসক লিচেট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ঘুরে দেখেন এবং প্ল্যান্টটির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির নির্দেশনা দেন। তিনি পরিশোধন কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিকের গুণমান যাচাইয়ের জন্য নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দেন এবং লিচেট যেন কোনোভাবেই নদী বা জলাশয়ে প্রবেশ না করে তা কঠোরভাবে তদারকি করার নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনকালে বর্জ্যবাহী পরিবহন চালকদের পক্ষ থেকে পরিবহন চালক ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হোসেন ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন ভূঁইয়া চালকদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জবাবে প্রশাসক এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন এবং কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহের নিশ্চয়তা দেন।
ল্যান্ডফিল এলাকায় যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনা রোধে দুটি ডাম্পিং স্টেশনের খাড়া প্রবেশপথে প্লাস্টিক গ্রিড বসিয়ে রাস্তা দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেন প্রশাসক। এছাড়াও বর্জ্যবাহী গাড়ির চলাচলের জন্য ডাম্পিং এলাকার রাস্তাগুলো জরুরিভিত্তিতে প্রশস্ত করার নির্দেশ দেন।
প্রশাসক উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালেই আমিন বাজার ল্যান্ডফিল সম্পূর্ণভাবে পূর্ণ হয়ে গেলেও এখনও কিভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে তা তিনি সরেজমিনে দেখেছেন। এবারের কোরবানির বর্জ্য ডাম্পিংয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা সেনানিবাস এলাকার কোরবানির বর্জ্যও আমিন বাজার ল্যান্ডফিলে ডাম্পিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেন তিনি।
প্রশাসক বলেন, “ডাম্পিং স্টেশনে পড়ে থাকা অকেজো স্কেভেটরগুলো দ্রুত মেরামত করে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজে ব্যবহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, আমিন বাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পের পরিচালক এস.এম. শফিকুর রহমান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফরহাদসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইএইচ