বাঙ্গরায় ডাকাতি ও নারীর বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও ধারণ চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৮:২৬ পিএম

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার চাপিতলা গ্রামের মো. কবির হোসেন পেশায় একজন চায়ের দোকানদার চাপিতলা বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান রয়েছে সেই রাতে সে তার নিজ দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পুলিশের প্রেস নোট সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত দেড়টায় সময় কবির হোসেনের ঘরে এক দল ডাকাত ডুকে পাশে সিঁধ কেটে ২ জন লোক ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে পরে দরজা খুলে আরো ৭/৮জন লোক ঘরে ডুকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী রেহানা আক্তাররের মুখে টেপ লাগিয়ে দেয় পেছনে হাত বেঁধে উপর দাঁ এর উল্টা পিট দিয়ে তাকে আঘাত করে। তার ছেলে কামরুল হাসান রনি কে ও মুখে টেপ লাগিয়ে রাখে।

ঘরে তার স্ত্রী রেহানা বেগম, মেঝো মেয়ে সুমি আক্তার, ছোট মেয়ে ফাতেমা আক্তার এবং তার ছোট ছেলে কামরুল হাসান রনি ছিল। তার ছোট মেয়ে ফাতেমার গলায় ছুরি বসিয়ে রাখে মেয়ে সুমি আক্তার এর একটি রিয়েলমি স্মার্টফোন এবং স্টিলের আলমারী থেকে নগদ ১২,০০০ টাকা ছেলে সাইফুলের পাসপোর্ট বই জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি নিয়ে যায় ডাকাত দলেরা। ডাকাতরা মেয়ে সুমি আক্তারকে বিবস্ত্র করে তাকে উলঙ্গ ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করেন জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়। সুমি আক্তার ঐ সময় আসামির মুখে মাস্ক খুলে যাওয়ায় বিদ্যুতিক আলোতে ডাকাত দল  চক্রের একজনকে চিনতে পারে। তার নাম জাকির হোসেন (৩৫), পিতা- আনু মিয়া, সাং- টনকী, থানা- বাঙ্গরা বাজার সে সম্পর্কে বাদীর মেয়ের ননাস এর স্বামী হয়।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাঙ্গরা বাজার থানায় মো. কবির হোসেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানের নিদের্শে এবং মুরাদনগর সার্কেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিযুষ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক দীনেশ চন্দ্র দাশ গুপ্তসহ বাঙ্গরা বাজার থানা অফিসার ফোর্সের নিরলস প্রচেষ্টায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত চক্ররের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। আসামি ০১। সজীব মিয়া (২৩), পিতা- শিশু মিয়া, সাং- গাজীপুর, থানা- বাঙ্গরা বাজার, তার কাছ থেকে রিয়েলমি স্মার্টফোনটি উদ্ধার করা হয়। ০২। মোঃ জাকির হোসেন (৩৭), পিতা- ফুল মিয়া, সাং- গাজীপুর, থানা- বাঙ্গরা বাজার, ঘটনায় ব্যবহৃত দাঁ উদ্ধার ০৩। নাজমুল হাসান টুকু প্রঃ টুকন (১৯), পিতা- মৃত জীবন মিয়া, সাং- গাজীপুর, থানা- বাঙ্গরা বাজার, ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন তিনি বলে জেলা পুলিশ সুপারের নিদের্শে এই ঘটনায় ডাকাত দলের তিন জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। পলাতক আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ জোড়ালো তৎপরতা অব্যহত আছে।

ভিকটিম নারীর পিতা ও মামলার বাদী মোঃ কবির হোসেন বলেন, ঘটনার মূল আসামি টনকী গ্রামের আনু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন আটক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আতঙ্ক কাটবে না।

কেএস