বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২২, ০৭:২৮ পিএম

কমলাপুর স্টেশনে বাড়ি ফেরার ট্রেনের অপেক্ষা করছিলো একটি মেয়ে। একই সময় বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষায় ছিলো সাদেক নামে এক ব্যক্তি। অপেক্ষারত দু‍‍`জনের মধ্যে এক পর্যায়ে কথা হয়। সাদেক জানতে চায় মেয়েটি কোথায় যাবে, মেয়েটি জানায় সে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে যাবে। তখন সাদেকও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বলে, সেও বাজিতপুর যাবে। মেয়েটি তখন একই এলাকার ভেবে একটু বিশ্বস্ত বোধ করে। একপর্যায়ে ট্রেন ভৈরব স্টেশনে পৌঁছালে, দুইজন ট্রেন থেকে নেমে একটি সিএনজি করে কুলিয়ারচর আগরপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। আগরপুর থেকে রিকশা করে বাজিতপুর যাবে।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টা থেকে দশটা। ছেলেটি রিকশার জন্য একজন রিকশা ঠিক করে দুজন রিকশায় উঠলে, রিকশা চলতে লাগে উল্টো পথে। পূর্ব দিক বাজিতপুর সড়কে না গিয়ে, রিকশা গেলে পশ্চিম দিকে পশ্চিম আব্দুল্লাহপুরের দিকে। এ সময় মেয়েটির মনে সন্দেহ জন্ম নিলে রিকশা কোন দিকে যাচ্ছে জানতে চাইলে, রিকশা ওয়ালা জানায় ঠিকই পথেই যাচ্ছে। এক পর্যন্ত রিকশা পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের একটি কলাবাগানের কাছে গেলে মেয়েটির তীব্র সন্দেহ হয় এবং চিৎকার করার চেষ্টা করলে, ছেলেটি মেয়েটির মুখ চেপে ধরে এবং কলাবাগানের ভিতর নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রিকশাওয়ালা ঘটনা স্থলে ত্যাগ করে।

ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর রিকশাওয়ালার মনে কিছুটা অনুশোচনা জন্ম নেয়। তখন রিকশাওয়ালা আলী ঘটনাটি নিকটবর্তী সাধু বাজারে গিয়ে, বাজারে লোকজনকে জানায়। পরে লোকজন গিয়ে কলাবাগান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে উদ্ধারকারীরা মেয়েটিকে নিয়ে স্থানীয় সাত্তার মেম্বার কাছে যায়। এসময় সাত্তার মেম্বার ঘটনা শুনে মেয়েটিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিডিআর আব্বাসের বাড়ি রাখেন এবং রিকশাওয়ালার মাধ্যমে ছেলেটির পরিচয় চিন্তিত করে, রাত ভর চেষ্টায় সকালে ছেলেটিকে কৌশলে ধরে আনেন এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ধর্ষক সাদেক ও মেয়েটিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। (বর্ণনা ধর্ষিতা মেয়ে, স্থানীয় মেম্বার ও পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী)

ধর্ষক সাদেক (২৫) কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের পূর্ব আব্দুল্লাহপুর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, অভিযুক্ত সাদেককে গ্রেফতার পর প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের কথা শিকার করেছে। সাদেকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা দায়ের শেষে মেয়েটিকে মেডিক্যাল চেকআপে জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হসপিটালে পাঠানো হবে।

এসএম