ফরিদপুরে কুমিরের কামড়ে গৃহবধূ হাসপাতালে

এন কে বি নয়ন, ফরিদপুর প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২২, ০২:৫২ পিএম

ফরিদপুরের পদ্মার চরে ফের কুমির আতংক দেখা দিয়েছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামে এক গৃহবধূ কুমিরের কামড়ে মারাত্মক ভাবে আহত হযেছেন। আহত নারীর নাম পারুলী বেগম। তিনি বর্তমানে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আহত পারুলী বেগম (৫৫) বলেন, ভোরে ফজর নামাজের সময় আমার হাঁস-মুরগি ডাক চিৎকার করছিল। এখানে শেয়ালের উৎপাত আছে যেনে আমি ঘর থেকে বেড়িয়ে হাঁস-মুরগি দেখতে যাই। আমার হাঁস-মুরগির ঘরটি নেটের জাল দিয়ে চারিপাশে ঘেরা থাকে। সেই নেটের জালের মধ্যে কিছু একটা পেঁচানো দেখে আমি সেটাকে জাল থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। এমন সময় জালের মধ্যে কুমির দেখে চিৎকার দেই। তখন কুমির আমাকে কামড় দিলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।

ব্যাপারে পারুলী বেগমের স্বামী রাজ্জাক শেখ (৬২) বলেন, আমার স্ত্রী‍‍`র চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেড়িয়ে দেখি উঠানে পারুলি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আর কুমিড় পাশেই রয়েছে। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঁশ দিয়ে কুমিড়কে বাড়ি দিলে কুমির পাশের পুকুরে ঝাপ দেয়। তারপর আমার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। তার হাত ও পায়ে কামড়ের জখম রয়েছে। তবে সে আশঙ্কা মুক্ত।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক  বলেন, এই ইউনিয়নটি পদ্মা বেষ্টিত চর অধ্যুষিত এলাকা। শনিবার ফজরের ওয়াক্তে উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের মনসুরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা।

এর আগে গত বছর একই স্থান থেকে বড় আকারের একটি কুমির ধরা পড়েছিল। সেই কুমিরটিকে বন বিভাগের সহাযতায় খুলনায় নিযে যায়। এদিকে, কুমিরের কামড়ে একজন আহত হবার ঘটনায় এলাকায় ফের কুমির আতংক দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জেরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

কেএস