ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

আল-আমিন, নীলফামারী প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২২, ০৫:০২ পিএম

নীলফামারীতে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার দায়ে মাহমুদার (৩৭) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডসহ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ও বিচারক মো. মনসুর আলম।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদার নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দুন্দিবাড়ী পশ্চিম পাড়া গ্রামের আফান উদ্দিনের ছেলে।

আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাহমুদার ইতিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করায় যাতে প্রকাশ করতে না পারে সে জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তাকে। বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখে মাহমুদার। ইতি জেলার জলঢাকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

এ ব্যাপারে, পরের দিন একই সালের ১ অক্টোবর ইতি আক্তারের বাবা এয়াকুপ আলী বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং (নাশিনি) ৮৯/১০।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আজ বুধবার এই সাজা প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপ্পী জানান, আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার শুরু থেকে আসামি পলাতক থাকায় আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ইতির বাবা। ইতির বড় ভাই শরিফুল ইসলাম লাবলু বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াই ও আদালতের রায়ে আমরা খুশি। তবে এই মামলার বাদী আমার বাবার মৃত্যু হওয়ায় এই রায় দেখতে পেলেন না।

জানতে চাইলে সরকার কতৃক নিয়োজিত আসামি পক্ষের আইনজীবি আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, এই মামলায় আসামি পক্ষের লোকজন আদালতে (আসামী পলাতক) উপস্থিত না থাকায় কোন ধরনের আইনী সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হয়নি।

কেএস