বাকেরগঞ্জে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পূজা

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২, ০২:৩৬ পিএম

বাকেরগঞ্জের কলসকাঠীতে গতকাল ২নভেম্বর বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পূজা। আগামী ৪ নভেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এ পূজা। বর্ণাঢ্য আয়োজন, বর্ণিল আলোক সজ্জায় হাজার হাজার লোক সমাগমের মধ্য দিয়ে শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে উপজেলার কলসকাঠীতে শুরু হয়েছে ৩দিন ব্যাপী সার্বজনিন জগদ্ধাত্রী পূজা উৎসব। সনাতন ধর্মীয় মতে সোমুদ্ভাসিত বার্তা নিয়ে আসছে মা জগদ্ধাত্রী। জগদ্ধাত্রী পূজাকে কেন্দ্র করে কলসকাঠী রূপ নেয় এক মিলনমেলায়। অনুষ্ঠানটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও উপভোগ করার জন্য সকল ধর্মের লোকজন ছুটে আসে কলসকাঠীতে।

জানা যায়, বাংলাদেশের বৃহত্তম এই জগদ্ধাত্রী পূজা কলসকাঠীতে উদযাপিত হয়। জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে তিন দিন সকল ধর্মের হাজার হাজার লোকের সমাগম হয় এই পূজায়। দেশের দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ছুটে আসে জগদ্ধাত্রী পূজা উপভোগ করতে। পূজা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা দোকান নিয়ে এসেছেন কলসকাঠীতে। পূজায় বিনোদনের জন্য রাধা চক্কর, গানের আসর, ব্যান্ড শোসহ নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কলসকাঠীতে এ পূজা উদযাপিত হয়।

জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে প্রতিটি মন্দিরে নির্মাণ করা হয়েছে সুদৃশ্য তোড়ন। সাজসজ্জায় যেন কোনো মন্দির পিছিয়ে নেই। কলসকাঠী কালি বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে, জনতা ব্যাংকের গলিতে সৎ সংঘ পূজা উদযাপন কমিটি এবং বাজারের রাস্তায় রাস্তায় দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দোকানে খেলনাসহ পশরা সাজিয়ে বসে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও কলসকাঠীতে মোট ৬ টি মন্দিরে অর্থাৎ ৩টি মন্দিরে সার্বজনীন ও ৩টি মন্দিরে পারিবারিকভাবে এ পূজা উদযাপিত হচ্ছে। প্রতিমা তৈরি, সাজসজ্জা ও লাইটিং প্রতিযোগীতায় দুটো মন্দির শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। একটি কালী বাড়ি পূজা মন্দির ও আরেকটি সৎ সংঘ পূজা মন্দির। পূজা উপলক্ষে প্রতিদিনই মন্দিরে মন্দিরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

কলসকাঠী কালী বাড়ি পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি চন্দ্রনাথ মুখার্জী (চাঁন), সাধারন সম্পাদক রবিন্দ্রনাথ কুন্ডু (রবি), সুজয় বিশ্বাস এবং সৎ সংঘ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক, কানাই কর্মকার।

জগদ্ধাত্রী পূজায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। জগদ্ধাত্রী পূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশসহ সকল আইন শৃখলা বাহিনী সর্বদা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।

কেএস