শেরপুরে শীতে কাঁপছে সীমান্ত অঞ্চলের লোকজন

ঝিনাইগাতীতে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বহু লোক

ঝিনাইগাতি (শেরপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২, ০৩:৪০ পিএম

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ ও শিশুরা শীতের শুরুতেই হতাশায় ছিন্নমূলের বয় বৃদ্ধ ও শিশুরা। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার সীমান্ত এলাকার অনেকে দরিদ্র অসহায় গরীব পরিবার বসবাস করে। পাহাড়ি সীমান্ত এলাকায় বসবাস করে উপজাতি বা আদিবাসী গারো, কোচ, হাজং, বেদে পরিবারের লোকজনসহ সকল সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে।

জীবন জীবিকার তাগিতে অনেকেই শ্রম বিক্রি করে। আবার কেউ পাহাড়ের কাঠকোটা বাজারে বিক্রি করে জীবন জীবিকা চালায়। কিছু প্রন্তিক চাষি আছে তারা কিছু জমিতে ধান চাষ করে। উক্ত উৎপাদিত ফসল তাদের ভাগ্য ভালো হলে ফসল ঘড়ে তুলতে পারে। নচেৎ তাদের কষ্টে অর্জিত ফসল ভারত থেকে নেমে আসা বন্য হাতির খাবার হয়। ফলে দরিদ্র কৃষকের ভাগ্যে জুটে নানা ধরনের কষ্ট। তাই পাহাড়ি জনগুষ্ঠির ভাগ্যের যেনো কোন উন্নতি হচ্ছে না। ফলে দরিদ্রতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সীমান্ত অঞ্চলেন জনগুষ্ঠি।

কর্মসংস্থান বলতে দৈনিক হাজিরায় কাজ থাকলে করে। আর কাজ কাম না থাকলে বেকার থেকে কষ্টে জীবন যাপন করতে হয়। অভাবের সংসারে পরিধেয় বস্ত্রছাড়া শীত মোকাবেলা করার মতো শীতের বস্ত্র অনেক পরিবারের নেই। তাই প্রতিবছর শীত যেনো দরিদ্র ছিন্নমূল পরিবারের জন্য হতাশা বয়ে নিয়ে আসে। শীতের প্রথম ধাপেই অনেক বৃদ্ধ ও ছোট ছেলে-মেয়েরা ঠাণ্ডায় রোগাক্রান্ত হতে শুরু করেছে।

বিশেষ করে ঝিনাইগাতি উপজেলার নলকুড়া, কাংশা, ধানশাইল ও গৌরিপুর ইউনিয়নে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শীতে রোগিরা প্রতিদিন ঝিনাইগাতি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। তাই দরিদ্র পরিবারের মাঝে দ্রুত শীত বস্ত্র প্রদান করা জরুরি দরকার।

এখন পর্যন্ত দরিদ্র আদিবাসী বেদে পরিবার সহ ছিন্নমূল পরিবারদের মাঝে সরকারি বেসকারি কোন প্রকার শীত বস্ত্র প্রদান করা হয়নি। তাই শীত মোকাবেলায় অসহায় দরিদ্র পরিবারদের মাঝে শীত নিবারণের জন্য শীতার্তদের মাঝে শীত-বস্ত্র বিতরণের জোর দাবি জানিয়েছে সীমান্তের দরিদ্র জনগুষ্ঠি।

এসএম