রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশস্থলে বন্ধ মোবাইল ইন্টারনেট

রাজশাহী থেকে হাসান সিকদার প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২২, ০১:৩৪ পিএম

রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে ৪ ঘণ্টা আগেই এ সমাবেশ শুরু হয়েছে।

শনিবার (৩ ডিস্বের) দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে গণসমাবেশের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

এদিকে সমাবেশ শুরুর পর থেকে সমাবেশস্থল ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠসহ আশেপাশের রাজশাহী শহরের অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ আছে। এসব এলাকার মোবাইল সেবাও ব্যাহত হচ্ছে। সংবাদ সংগ্রহে বেকায়দায় পড়েছেন সাংবাদিকরাও। তবে এটিকে সরকারের এক ধরনের বাধা হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা।

মাদরাসা মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির সংস্কৃতির অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হাওয়ার পর থেকেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়।

বিএনপির সমাবেশস্থলের আশপাশে ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহীর পাঠানপাড়া, সিপাইপাড়া, লক্ষ্মীপুর, ফায়ার সার্ভিসের মোড়, বর্নালী, নগরভবন এলাকায় কোনো ইন্টারনেট নেই। এমন কি এসব এলাকার মধ্যে কয়েকটি এরিয়াতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধাও বন্ধ করে রাখা আছে।

রাজশাহীর একটি আইএসপি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. সজল। তিনি তার প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছিলেন নগরীর মাদরাসা মাঠে। সেখানে ইন্টারনেট নেই। ইন্টারনেট না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, মূল সার্ভার থেকেই বন্ধ করে রাখা আছে। আমাদের কিছু করার নেই।

রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু গণমাধ্যমকে বলেন, এ সরকার আমাদের সব কাজেই বাধা দিচ্ছে। ইন্টারনেট বন্ধও একটি বাধা। আমাদের সমাবেশ যাতে বিপুল পরিমাণে প্রচার না পায় এজন্য তারা ভয়ে বন্ধ করে রেখেছে।

প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লার পর রাজশাহীতে গণসমাবেশ আজ (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে সমাবেশ চলছে। এটি বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কেএস