মেলান্দহে ১২’শ শিক্ষার্থীর একাদশে ভর্তি অনিশ্চিত, প্রতিবাদ

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২২, ১১:২৭ এএম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ১২শ শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণি ভর্তি অনিশ্চিত হয়েছে পড়েছে। দুইটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের দুইটি ব্যবহারিক বিষয়ের ব্যবহারিক নাম্বার ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে জমা দেওয়া হয়নি। এতে রেজাল্টে ব্যবহারিক বিষয়ে ফলাফল আসেনি।

এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় জামালপুর-মাদারগঞ্জ মহা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও হাজরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ও ভাবকী জি এম উচ্চ বিদ্যালয় পরিক্ষা কেন্দ্রে ১৪টি স্কুলের মোট ১ হাজার ২শ ১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ক্যারিয়ার শিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক নাম্বার পত্র ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের জমা দেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট শিটে ব্যাবহারিক নম্বর যোগ হয়নি।

শিক্ষার্থীরা জানান, ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য আমাদের কাছ থেকে স্যারেরা টাকা নিয়েছেন। অন্যান্য বিষয়ের ব্যবহারিক নাম্বার পত্র জমা হলেও ক্যারিয়ার ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক নাম্বার পত্র জমা হয়নি। এতে ওই বিষয়ের রেজাল্ট শিটে ফেল এসেছে।‌ ক্যারিয়ারও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের যদি ব্যবহারিক নাম্বার যুক্ত হয়নি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সজীব নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য স্যারদের প্রতি বিষয়ে ২০০ করে টাকা দিয়েছি। আমি প্রায় ৮০০ টাকা দিয়েছি। সব বিষয়ের ব্যবহারিক নাম্বার দিলেও ক্যারিয়ার ও শারীরিক শিক্ষা একটি বিষয়ের ব্যবহারিক নাম্বার দেইনি। আমরা এখন একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারলেও পরে ভর্তি হতে পারবো না।

শিক্ষার্থী মাফিয়া আক্তার বলেন, আমি জিপিএ ৪ পেয়েছি। যদি ব্যবহারিক নাম্বার দেয়া হতো তাহলে আমার জিপিএ আরো বেশি হতো। আমরা এই বিষয়টি দ্রুত সমাধান চাই। এটি সমাধান না হলে আমাদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিশ্চিত হয়ে পড়বে।

হাজরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব বলেন, ক্যারিয়ার ও শারীরিক শিক্ষার বিষয়ের ব্যবহারিক নাম্বার পত্র জমা দিতে সার্ভারের হয়তো সমস্যা হয়েছিল তার জন্য জমা হয়নি। এ সমস্যাটি সমাধান করার জন্য শিক্ষা বোর্ডে সাথে কথা হয়েছে। টাকা নেওয়ার বিষয়টা আমি জানি না। ব্যবহারিক নাম্বারের জন্য কোন টাকা নেওয়া হয়নি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ব্যবহারিক বিষয়ের নাম্বার পত্র জমা দেইনি দুটি কেন্দ্র দায়িত্বে থাকা লোকজন শিক্ষা বোর্ডে। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবেন না। সমাধান হলে ভর্তি হতে পারবেন। শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হয়েছে দ্রুত সমাধান হবে। আজ মানববন্ধন বা বিদ্যালয় ভাঙচুর হয়েছে এটাও জানি না।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে দ্রুত সমাধান করব। নাম্বার পত্র আপডেট করতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না। ভর্তি হতে কোন সমস্যা হবে না দ্রুত সমাধান হবে।

কেএস