কৃষক আগ্রহী, কর্মকর্তা অনীহা

ধান-চাল সংগ্রহে ‘জট’

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৩:৫০ পিএম

এবার আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উপজেলাওয়ারি বিভাজন করে দিয়েছে সরকার। সে হিসেবে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে ১২০৭ টন ধান ও ৫৭ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ধান-চাল সংগ্রহের এ অভিযান গত বছরের ১৭ নভেম্বর শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। মাঠপর্যায়ে কৃষকের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে ধান এবং মিলারদের কাছ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহ করছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস। তবে গত ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৮ দিনে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৮১ টন এবং এক ছটাকও চাল সংগ্রহ হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় সেদিকে ঝুঁকছে কৃষক। একই পথে হেঁটেছে মিল মালিক। তবে ধান-চাল সংগ্রহে কর্মকর্তাদের অনীহা উল্লেখ করে সেদিকে তীর ধরছে কৃষকরা। 
কৃষকরা বলছেন, আমন মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধান সংগ্রহের ব্যাপারে কোন প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়নি। ধান বিক্রির ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে গেলেও অফিস খোলা পাইনি। তালাবদ্ধ ছিল। একাধিকবার গিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দেখা মেলেনি। অথচ আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ বিষয়ক ১৭ ডিজিটের নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এর কোন প্রতিফলন দেখা মেলেনি। তবে এবার এ উপজেলায় আমন ধান উৎপাদন বেশি হলেও ধান-চাল সংগ্রহে ব্যার্থ হচ্ছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস। যার ফলে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের অভিযান ভেস্তে যেতে বসেছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালায় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত (১৪ জানুয়ারি) ধান সংগ্রহ হয়েছে ৮১ টন। চাল সংগ্রহ হয়নি।

স্থানীয় ধানের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিআর১১-২৩,স্বর্ন গোটা ও গুটি স্বর্ণা ধান বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা মণ দরে এবং কাজলা ও সাদা মোটার মণ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৩৫০ এবং কালোজিরা ধান ১৫০০ টাকা মণে বিক্রি হয়েছে । যা গতবছর ৮০০-১১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মিলার চাল দিতে পারছে না। কৃষকরা আমাদেরকে ধান না দিলে আমরা খুশি। আমরা তো আর কৃষকের জন্য বসে থাকি না। আমরা ইন্ডিয়া থেকে চাল সংগ্রহ করতেছি।’

কেএস