মানিকছড়ি সরকারি কলেজের এইচএসসি’র ফলাফল হতাশাজনক

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি   প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফলে মানিকছড়ি গিরিমৈত্রী সরকারি ডিগ্রি কলেজের ৫৪১জন পরীক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে মাত্র ২৫৭জন। পাশের হার ৪৭.৫০% শতাংশ। 

এর মধ্যে মানবিক শাখা থেকে একজন ও ব্যবসা শিক্ষা থেকে দুজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। যার ফলে খাগড়াছড়ি জেলার মধ্যে সবচেয়ে ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে মানিকছড়ি সরকারি কলেজের। এর কারণ হিসেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত কলেজে না আসা ও রাজনৈক প্রভাবের কথা বললেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, শ্রেণি কক্ষে শিক্ষকদের পাঠদানে উদাসহীনতা কারণেই ফলাফলের এমন বিপর্যয় ঘটেছে।

এ ব্যাপারে একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন, কলেজে অধ্যক্ষ ও অন্যান্য প্রভাষকদের দ্বন্দ্বের ফলে শ্রেণি কক্ষে মনোযোগ সহকারে পাঠদান করান না শিক্ষকরা। সেই সাথে কর্তৃপক্ষের মনিটরিংয়ের যথেষ্ট অভাবের ফলে ফলাফলের এ অবস্থা। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই যে যার মতো করে কলেজে সময় পার করে। দায়িত্ব সহকারে শিক্ষার্থীদের কেউ শাসন করেন না কিংবা শিক্ষার মান নিয়ে কেউ ভাবেননি বলে ফলাফলের এ অবস্থা। এ ব্যাপারে অভিভাবক ও সাংবাদিক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে এবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪.৬৭ পেয়েছে। যদি শ্রেণি কক্ষে যথাযথ পাঠদানসহ যথেষ্ট মনিটরিং হতো তাহলে ফলাফল আরো ভালো হতো।

কলেজের ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে কলেজের প্রভাষক (হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ) মো. আবু জাফর মোহাম্মদ ছালে জানান, অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত কলেজে আসেনা। সেই সাথে যারা আসে তারা রাজনীতি ও তাদের ব্যক্তিগত কাজে কলেজ মাঠে কিংবা বাইরে অবস্থান করে। যার ফলে শ্রেণি কক্ষের পাঠদানের সময় তারা উপস্থিত থাকে না। তারা যদি নিয়মিত কলেজে আসতো এবং ক্লাসে মনযোগি হতো তাহলে ফলাফলের এমন বিপর্যয় হতো না। শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে নিয়মিত করতে পারলে আগামীতে ফলাফল ভালো করা সম্ভভ বলে মনে করেন তিনি।

ফলাফলে পির্যয়ের কারণ জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ মংচাইঞো মারমা বলেন, আমাদের কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দূর্গম এলাকা থেকে এসে ভর্তি হয়। রাজনীতি ও মোবাইল নিয়ে নিজেদের ব্যস্ত রাখার কারণে অনেকেই নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারে না। যার ফলে ক্লাসে উপস্থিতির সংখ্যা একেবারেই কম। যদি শ্রেণি কক্ষে মনযোগ সহকারে পাঠদানে অংশ নিত এবং বাড়িতে কিছুটা সময় পড়াশুনা করতো তাহলে ফলাফল আরো ভালো হতো। সেই সাথে পাঠদানে শিক্ষকদের উদাসহীনতাকে তিনি ফলাফলের বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করছেন। তবে আগামীতে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও কলেজ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে ভালো ফলাফলের আশাবাদ ব্যক্ত করনে।

আরএস