সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারী ও শিশুসহ দগ্ধ ৪

সাভার প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩, ০৭:৪০ পিএম

সাভার ও আশুলিয়ায় পৃথক গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিন নারীসহ এক পুরুষ দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আশুলিয়ার কাঠগড়া-আমতলা এলাকার মো. আলীর মালিকানাধীন মা ভিলা নামের একটি দুই তলা বাড়ির ১১ নম্বর কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে । এতে মা ও মেয়েসহ তিনজন দগ্ধ হয়।

দগ্ধরা হলেন, ইয়াসমিন আক্তার (৪০) তিনি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার মৃত ইসমাইলের স্ত্রী। এবং তার বড় মেয়ে শিমা আক্তার (২০) ও ছোটো মেয়ে সুমা আক্তার (১২)। এদের মধ্যে ইয়াসমিন আক্তার ও তার বড় মেয়ে আলাদা পোষাক কারখানায় কাজ করতেন ও ছোটো মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা করতেন।

মা ভিলার ম্যানেজার মো. আবু ইউসুফ  বলেন, সকালে আমি ঘুমাচ্ছিলাম, হটাৎ বিকট আওয়াজ করে পাশের রুমে। পরে গিয়ে দেখি তিনজনের শরীরে আগুন জ্বলতে থাকে। এসময় আমরা সাবাই মিলে আগুন নির্বাপন যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভিয়ে অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন দিয়ে এনে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। বিস্ফোরনে ঘরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।

বিস্ফোরণটির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে লিকেজ হয়ে সারারাতে ধীরে ধীরে বের হয়ে পুরো রুম হয়ে যায় যখন সকালে রান্নার জন্য দিয়াশলাই জ্বলাতে গেলে বিস্ফোরণ হয়।

দগ্ধ ইয়াসমিনের খালাতো ভাই সুজা বলেন, আমার বড় বোন ইয়াসমিন ও ভাগনি শিমার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া ছোটো ভাগনি সুমার অবস্থা খারাপ তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে তার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

অন্যদিকে সাভার পৌরসভার সবুজবাগ এলাকায় রাত ৪টার দিকে গ্যাস চুলায় আগুন জ্বালাতে গিয়ে লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণ হয়ে দগ্ধ হয় মমিনুল হক নেমে এক যুবক। তিনি জামালপুর জেলার বাসিন্দা। তার গলার এক অংশ পুড়ে গেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে কলেজের বার্ন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার শাহিন জানান, এমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি।

আরএস