বোরো জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ, দিশেহারা চাষি

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩, ০৭:০৩ পিএম

ধানের জেলা নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়  ফসলি মাঠ যেন এক সবুজের সমারোহ। চোখ যতদুর যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঠে মাঠে বোরো ধানের শীর্ষ বের হতে শুরু হয়েছে। তবে এরই মাঝে বোর ধানের জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। এতে কৃষক পড়েছেন বিপাকে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কেন্দুয়া উপজেলার ২০ হাজার ৭৫০ হেক্টোর জমিতে বোর ধানের আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে উঁচু ধানী জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হচ্ছে। সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ায় তুলনামূলকভাবে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ধান রক্ষা করতে কৃষক ক্ষেতের মধ্যে বাঁশের কঞ্চি গেড়ে তাতে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন।

কান্দিউড়া ইউনিয়নের কৃষক সালাম মিয়া বলেন, ইঁদুর থেকে রক্ষা পেতে ক্ষেতে বিষ মাখা বিভিন্ন পদ্ধতিতে টোপ, আতব চালের টোপ কিংবা ফাঁদ পেতেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচা ধান কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে ইঁদুর। ইঁদুরের উপদ্রবে বোর ধানের ক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছে তিনি।

উপজেলার দীঘলর্কুশা গ্রামের কৃষক মোজাহিদ জানান, এবার বোরো মৌসুমে ৩০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। এখন ধানের শীষ বের হচ্ছে। এ অবস্থায় ক্ষেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।

একই গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজ জানান, ইঁদুুরের উপদ্রব থেকে ধান রক্ষা করতে ওষুধ ছিটিয়ে কোন লাভ হচ্ছে না। অনেকে বলছেন পলিথিন টানিয়ে দিতে বাতাসে কাগজ উড়লে শব্দ হয়, সেই শব্দ শুনে ইঁদুর পালিয়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা থাকে। তাই জমিতে বাঁশের কঞ্চি গেড়ে তাতে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন।

কেন্দুয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শাহজাহান কবির বলেন, উপজেলার কিছু উঁচু জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। কৃষক প্রথমত তারা ক্ষেতে বিষটোপ ব্যবহার করতে পারে। এছাড়াও জমিতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পেতে ইঁদুর মারা যায়। কৃষক ক্ষেতে পলিথিন টানিয়ে দিলে শব্দেও ইঁদুর পালিয়ে যায়। এতে কৃষকরা ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ইঁদুর তাড়াতে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এআরএস