ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা এলাকার ৪ বছর বয়সী নাবালিকা শিশুকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে ধর্ষণ করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই দিন শিশুটির মা ৪ বছরের এ শিশু কন্যাসহ আরো দুই শিশু সন্তান বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফএর চাউল আনতে যায়। একই দিন দুপুরে আসামী ফজলু এই ৪ বছরের শিশু কন্যাকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পার্শ্বের মাল্টা বাগানে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে শিশুটির মা বাড়িতে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে জিজ্ঞাসা করিলে মেয়েটি ঘটনাটি তার মায়ের নিকট বলে। এই সংক্রান্তে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় আসামীর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন৷
ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল তদন্ত শুরু করে এবং ধর্ষককারীকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। ঘটনার পর থেকে আসামী আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। পরবর্তীতে র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে।
এ অবস্থায় গত শনিবার ( ২৬ মার্চ) র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চাঞ্চল্যকর ওই ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় আত্মগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার কাজিরবেড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো. ফজলু (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা আছে বলে স্বীকার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরএস