কক্সবাজারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩, ০৮:৪১ পিএম

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কক্সবাজার জেলা কমান্ডের নির্বাচন আগামি ২০ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে জেলার সাবেক কমান্ডার নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, সরকারি ভাতা বিতরণে অনিয়ম সহ নানা অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

এনিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চকরিয়া উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী ২০ মে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কক্সবাজার জেলা কমান্ডের নির্বাচন তিনি জেলা কমান্ডার পদ প্রার্থী। এর জের ধরে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার তার ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

যা শুনে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাশিত নয় মন্তব্য করে বশিরুল আলম বলেন, ‘নুরুল আবছার সাহেব মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা নিয়ে অনেকের কাছেই সন্দেহ রয়েছে। আসলে তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন, কোথায় ট্রেনিং করেছেন তা প্রশ্ন থেকে যায়। ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে যুদ্ধকালীন এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষা  দিয়েছিল। ওই সময় আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনে নেমে পড়লেও আবছার সাহেব এইচ.এস.সি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।’

নুরুল আবছার কৌশলে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সংসদের অর্থ আত্মসাত, সরকারি ভাতা বিতরণে অনিয়ম, কোরবানসহ বিভিন্ন উৎসবে বিভিন্ন সংস্থার দেয়া গরু বিতরণ না করে লুটের অভিযোগ করেন বশিরুল আলম।

তিনি বলেন, ‘সংসদকে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থের ব্যস্ততা, অর্থ লুটপাটের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে আবছারসহ কয়েক জন। তিনি আগে থেকে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং একজন দলছুট ব্যক্তি।’

নির্বাচন চলাকালিন সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদদের কার্যালয় ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মুহাম্মদ মাসুদ কুতুবী, জাফর আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আযাদ, মো. ছলিম উল্লাহ, ছাবের আহমদ, কে. এম. ছালাউদ্দিন, আহমদ কবির, আবুল কাসেম, কবির আহমদ, এ. কে, এম মঞ্জুরুউল হক, ছালেহ আহমদ সামাদ, আবদুল মান্নান, আলতাফ হোসেন, আমজাদ হোসেন, সুনিল বড়ুয়া, আনোয়ার, মোহাম্মদ বাবুল, মুহাম্মদ আক্তার নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল আবছারের সঙ্গে বিকাল ৫ টার পরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে ইফতারের পরে কথা বলবেন বলে জানান। তবে সন্ধ্যা ৭ টার পর পর্যন্ত ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এআরএস