ববির বাজেট প্রত্যাখ্যান করে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান ছাত্র কাউন্সিলের

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৬৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ক্যাম্পাস শাখা। চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বাজেট হওয়ায় অতীতের মত গবেষণা, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবহনসহ শিক্ষার্থীবান্ধব খাতগুলো অবহেলিত থেকে যাবে। তাই এই বাজেটকে পুনর্মূল্যায়ন করে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। এসময় দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি টেকসই, গবেষণানির্ভর ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সুপরিকল্পিত ও সম্প্রসারিত বাজেট কাঠামোর দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ববির ঘোষিত বাজেটের একটি বড় অংশ বেতন-ভাতা ও রুটিন ব্যয়ে ব্যবহৃত হবে। ফলে গবেষণা, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবহনসহ শিক্ষার্থীবান্ধব খাতগুলো অবহেলিতই থেকে যাবে। প্রতি বছরের মতো এবারও গবেষণা খাতে বরাদ্দ অত্যন্ত সীমিত থাকবে, যা একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল চেতনাকেই দুর্বল করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে ডাইনিংয়ে ভর্তুকি বন্ধ থাকায় খাবারের দাম বেড়েছে। স্বাস্থ্যসেবা অনিয়মিত এবং পরিবহণ সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা সরাসরি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ও মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকারকে পণ্য হিসেবে দেখার যে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি, এই বাজেট তাতে নতুন করে সিলমোহর দিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা খাতের বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের নীতি স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে এই বাজেটে। রাষ্ট্র জনগণের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে  চায় না বলেই, বরাবরের মতো অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও উপেক্ষিত হয়েছে শিক্ষাখাত। তারই ধারাবাহিকতায় অতীতের মতই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রয়োজনের তুলনায় যৎসামান্য বরাদ্দ পেয়েছে, যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব।

আরএস