বাউফলে পদক্ষেপ কার্যালয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৩, ১২:৩৬ পিএম

পটুয়াখালীর বাউফলে বেসরকারি এনজিও পদক্ষেপ কার্যালয়ে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বাউফল প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য, দৈনিক পর্যবেক্ষণ ও দৈনিক শাহনামা পত্রিকার প্রতিনিধি মো. রইসুল ইসলাম ইমনকে সংবাদ প্রকাশ না করতে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে অকথ্য গালিগালাজ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের মো. ইউনুস (২৮) এবং মো. হাফিজুর রহমান (৩২) নামের দুই মাঠ কর্মী।

একপর্যায়ে তারা ওই সংবাদকর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য সাদা কাগজে মুচলেকা চাওয়া হয়। পরে কৌশলে ইমন তার অন্য সহকর্মীদের বিষয়টি জানালে তারা গিয়ে ওই সংবাদকর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাউফল সরকারি কলেজ রোড এলাকায় পদক্ষেপ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বাউফল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী।

জানা যায়, মোসা. মর্জিনা নামে একজন নারী পদক্ষেপের কালাইয়া কলেজ রোড কেন্দ্র থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। ঋণ গ্রহণের সময় নীতিমালা অমান্য করে মর্জিনার কাছ থেকে সাদা চেক নেন পদক্ষেপ কর্মীরা।

পরবর্তীতে মর্জিনা ঋণের ৪৬ কিস্তির মধ্যে ২৩ কিস্তি পরিশোধ করেন। তবে পদক্ষেপ কর্মীরা মর্জিনার বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক তার সেলাই মেশিনসহ কিছু মালামাল নিয়ে আসে। এর কিছুদিন পরে মর্জিনার বিরুদ্ধে সাদা চেকপাতায় ৫০ হাজার টাকার চেক ডিজনারের মামলা দায়ের করে পদক্ষেপ।

এ ঘটনার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পদক্ষেপ কার্যালয়ে যান সংবাদকর্মী মো. রইসুল ইসলাম। তখন সংবাদকর্মী রইসুল ইসলামকে এ বিষয়ে নিউজ প্রকাশ না করার জন্য নানারকম হুমকি দেয় পদক্ষেপের সদস্যরা। একপর্যায়ে তাকে অবরুদ্ধ করে সাদা কাগজে নিউজ প্রকাশ করবে না বলে মুছলেকা দাবি করে পদক্ষেপ সদস্যরা। পরবর্তীতে অন্যান্য সংবাদকর্মীদের সহযোগিতায় তিনি মুক্ত হন।

এ বিষয়ে জানতে ‘পদক্ষেপ’ বাউফল কার্যালয়ের শাখা ব্যবস্থাপক আবুল বশারের মুঠোফোনে বলেন, আটকিয়ে বা অবরুদ্ধ করে রাখার কোন ঘটনা ঘটেনি।  কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, ‘ঘটনাটিতে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

এআরএস