নান্দাইলে বিয়ের সাঁজে থানায় কনে, বরের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩, ০৭:২৪ পিএম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিয়ের পিড়ি থেকে বধূ সজ্জিত কনে থানায় হাজির হয়ে বরের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ করে। গত শনিবার (১০ জুন) রাত ১১টার দিকে নান্দাইল মডেল থানায় উক্ত বর সহ আরও ছয় জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। 

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উক্ত বরের নাম জুবায়েল আহমেদ (২২)। সে নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র। শনিবার একই ইউনিয়নের দেউলডাংরা গ্রামের শফিকুল ইসলাম ভূইয়ার মেয়ে গার্মেন্টস কর্মী স্মৃতি আক্তার (২০) এর সাথে জুবায়েল আহমেদের বিবাহের দিনধার্য্য করা হয়। সেমতে কনের বাড়িতে বিয়ের দুটি গেইট সহ বিবাহ অনুষ্ঠানে ৪০০ জন লোকের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়। সকল আয়োজনও সম্পন্ন। বধূ বেশে সজ্জিত স্মৃতি আক্তার বিয়ের পিড়িতে এবং বাড়ির লোকজন বরের অপেক্ষা করছে। কিন্তু বর আগমনের পরিবর্তে বরের মা রেহেনা আক্তার এবং পিতা নজরুল ইসলাম কনের বাড়িতে এসে জানায় যে, তাদের পুত্র (বর) জুবায়েল আহমেদ এ বিয়েতে রাজি নয়। ফলে এ বিয়ে সম্ভব নয়। ফলে সকল আনুষ্ঠানিকতা নষ্ট হয়। 

কিন্তু কনে স্মৃতি আক্তার জানায় যে, উক্ত বর জুবায়েল আহমেদের সাথে প্রায় ৫ বৎসর যাবত তাঁর সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রেমের সুবাদে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সাথে বরের একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (৮ই জুন) জুবায়েল আহমেদ তাকে নারায়ানগঞ্জ থেকে বিয়ের কথা বলে জাহাঙ্গীপুর ইউনিয়নের বরের মামা আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে কাজলের বাড়িতে পুনরায় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এরপর ওই দিন রাত ৮টার সময় তাকে বিয়ে করার জন্য নান্দাইল হাসপাতাল সংলগ্ন নুরুল ইসলাম কাজীর বাসার পাশে নিয়ে আসে এবং তিন মিনিট অপেক্ষার করার কথা বলে বর জুবায়েল আহমেদ পালিয়ে যায়। অবশেষে বিষয়টি দুই পক্ষকে জানাজানি হলে উভয়পক্ষই বিবাহ বন্ধনের জন্য ৮ লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য্য করিয়া দিন তারিখ ঠিক করা হয়। 

কিন্তু অনুষ্ঠানের দিন শনিবার (১০ জুন) কনের বাড়িতে বিয়ের সমস্ত আয়োজন থাকলেও বিবাহ করতে আসেনি বর। ফলে এ বিষয়ে কনে স্মৃতি আক্তার বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। 

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য চেষ্টা চলছে। যদি বিষয়টির সমাধান না হয়, তবে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

আরএস