‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বরবার স্মরণ করা দরকার’

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি একজন অকুতোভয় বীর। তিনি বাঙালির চেতনা। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুকে বারবার স্মরণ করা দরকার।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট ২০২৩ইং) রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি এসব কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য সচিব মশিউর রহমান এনডিসি আরও বলেন, একসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন এবং চেতনাবোধ সম্পর্কে বাংলাদেশের এ প্রজন্মকে সুস্থধারার ধারণা প্রদান না করে বরং বিদ্বেষী মনোভাব জাগিয়ে তোলা হয়েছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী এদেশের জ্ঞানভিত্তিক বুদ্ধিজীবী প্রজন্মকে যেভাবে হত্যা করে দেশের মেধাকে ধ্বংস করেছিল। ঠিক একই কায়দায় বিশ্বাসঘাতক কুচক্রিমহল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে ভিন্ন পথে ধাবিত করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। কিন্তু বর্তমান স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধকে স্মরণ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছে।

সচিব মশিউর রহমান এনডিসি আরও বলেন, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, দর্শন, কর্ম ও আত্মজীবনী সম্পর্কে এ জাতির প্রজন্মকে অনেক বেশি জানতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবোধ সম্পর্কে এ প্রজন্মের অনুভূতি ও মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে হবে।

সততা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে যার যার অবস্থানে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনী স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবনী স্মৃতিচারণ করে আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ মিঠু ও কম্পিউটার অপারেটর মুরাদ হোসেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আলেয়া আক্তার, যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, উপসচিব সজল কান্তি বনিক, উপসচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, উপসচিব কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, উপসচিব মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরী, মন্ত্রীর একান্ত সচিব ও উপসচিব মোঃ লিয়াকত আলী, সচিবের একান্ত সচিব মোঃ শফিকুর আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম।

এর আগে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডী ৩২ নম্বর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি। পরে ঢাকার বেইলী রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সম্মুখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন পার্বত্য সচিব।  এ উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে শোক দিবসের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। এছাড়া কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।

এআরএস