তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যা আতঙ্কে নদীর পাড়ের মানুষ

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৩, ১২:০৪ পিএম

হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি। ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসা এই পানিতে রংপুরের  কাউনিয়া উপজেলার কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকে পরছে। এদিকে  কাউনিয়া তিস্তা  পয়েন্টে সকাল ৯ টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯ টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির হয়েছে। ইতিমধ্যে কাউনিয়ার ঢুসমারার চড় প্লাবিত হয়েছে।

বন্যার এই পূর্বাভাস পাওয়ার পর বুধবার থেকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন তিস্তা নদীবেষ্টিত চর ও নিচু অঞ্চলের মানুষকে দ্রুত উঁচুস্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় মসজিদ থেকেও চলছে মাইকিং। সেই সাথে বিভিন্ন বিদ্যালয় প্রস্তুত করা হয়েছে।
বালাপাড়া  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার আলী  বলেন, বালাপাড়া ইউনিয়নের  কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। আমরা সার্বক্ষনিক আছি। যখন যেটা প্রয়োজন সেটার ব্যবস্থা গ্রহণ করছি উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে।

কাউনিয়া  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক বলেন, কাউনিয়া পয়েন্টে সকাল ৯ টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। ঢুস মাড়ার চড় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে কৃষি জমিতে পানি উঠেছে। তবে এখনও বাড়ি ঘরে কোথাও পানি উঠেনি। কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে। সকল ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।

তিনি আরো জানান, আমরা ইতোমধ্যে চরের মানুষকে বুধবার থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করছি। বন্যায় যেন মানুষের জানমালের ক্ষতি না হয়, সে লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করছে। 

আরএস