বেলকুচিতে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে সাব-রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর-সিল জালের অভিযোগ

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সাব-রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ও সিলের মাধ্যমে দলিলের সার্টিফাইড কপি জাল করার অভিযোগ উঠেছে দলিল লেখক আমিনুল ইসলাম ফকিরের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সাংস্কৃতিক বিয়ষক সম্পাদক। আমিনুল ইসলাম ফকির দীর্ঘদিন ধরে মোটাঅংকের টাকার বিনিময়ে জালদলিল ও দলিলের সার্টিফাইড কপি জালসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার নাগগাঁতী গ্রামের সঞ্চিতা রানী গত তিন বছর আগে তিন শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমির দলিল প্রস্তুুত করেন দলিল লেখক আমিনুল ইসলাম ফকিরের মাধ্যমে। জমির রেজিস্ট্রি হওয়ার পর জমির কাগজপত্র সঞ্চিতা রানীকে দেন। সেই সঙ্গে জমির দলিলের সার্টিফাইড কপি ও দিয়ে দেন। তবে  জমির নামজারি করার সময় জানা যায় দলিলের সার্টিফাইড কপি জাল করা হয়েছে।

জমি গ্রহীতা সঞ্চিতা রানী জানান, আমার জায়গার দলিল প্রস্তুুত করার কাজে সহযোগিতা করেন দলিল লেখক আমিনুল ইসলাম ফকির। রেজিস্ট্রি হওয়ার পর আমার জায়গার দলিলের নকল তুলে দেন আমিরুল ইসলাম ফকির। তবে নামজারি করতে গেলে জানতে পারি দলিলটা নকল স্বাক্ষর ও সিল জাল করেছেন। এ বিষয়টা জানাজানি হলে আমিনুল ইসলাম ফকির ডেকে নিয়ে আসে তার দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়ে। সেখানে একটা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। স্বাক্ষরটা কি জন্য নিয়েছে সেটা বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে দলিলের সার্টিফাইড কপি জাল করার বিষয়ে দলিল লেখক আমিনুল ইসলাম ফকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ধরনের কাজ করি নাই। চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সাইদুর ইসলাম জানান, এ ধরনের জালিয়াতি বড় ধরনের অপরাধ। তদন্ত ছাড়া কাউকে অপরাধী বলা ঠিক হবে না। তদন্ত করে যদি জালিয়াতির বিষয়ে প্রমানিত হয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার হাসানুজ্জামান বলেন, দাখিলকৃত জমির দলিলের সার্টিফাইড কপির স্বাক্ষর জালের বিষয়টা জানতে পারি। এই বিষয়টা আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তদন্ত টিম গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

এআরএস