কচাবুনিয়া নদীতে বিলীন হচ্ছে সড়ক

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ০৬:২৮ পিএম

পটুয়াখালীর দুমকিতে নির্মাণের ৬ মাসের মাথায়ই ভেঙে যায় এলজিইডির পাকা সড়ক! ধীরে ধীরে ভাঙন ক্রমশই বেড়ে চলছে। নামে মাত্র সংস্কার করলেও নেয়া হয়নি কোন টিকসই মেরামতের উদ্যোগ। যাতে করে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। তাই দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে পুরোটা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হতে পারে ওই এলাকার সড়ক যোগাযোগ। বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে কৃষক পরিবার।

সরেজমিন পরিদর্শনে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের কচাবুনিয়া নদীর পশ্চিমপাড় নেছারিয়া মাদ্রাসা থেকে পুকুরজানা বাজার সড়কের মাঝামাঝি অন্তত ১০০ মিটার পাকা রাস্তার প্রায় অর্ধেকাংশ নদীতে ভেঙে পড়ে এক বছর আগে। এখন বাকি অর্ধেকাংশেও ফাটল ধরেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর তীরে পাইলিং বা সাপোর্টিং না থাকায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন সড়কটি মাত্র ছয় মাসেই ভেঙে পড়ে। তবে বছর পাড় হলেও এখনো কোন টিকসই মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসিবুর রহমান বলেন, ঠিকাদার যেনতেনভাবে তড়িঘড়ি রাস্তার কার্পেটিং কাজ শেষ করলেও অনেক কাজ ফেলে রেখেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, যথাযথ পরিমাপ ঠিক না রাখাসহ নানা অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ায় কাজের গুণগতমান ঠিক নেই।

তাছাড়া নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পাইল-সাপোর্ট না থাকায় জোয়ারের স্রোতে নিচের মাটি সরে যাওয়ায় সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তা ভেঙে একবার পানি ঢুকলে বসতঃঘর তলিয়ে যাওয়াসহ কৃষকদের সর্বনাশ হবে। একই বক্তব্য দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া গ্রামের অনেকের।

পাঙ্গাশিয়া তেতুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাহেব প্রধান শিক্ষক মিসেস পিয়ারা বেগম জানান, নদীতে ভেঙে পড়া রাস্তা দিয়ে স্কুলের বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত আসতে যেতে হয়। আমাদের এসব শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ রক্ষায় ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি। আশাকরি তারা যত দ্রুত সম্ভব মেরামত কাজ শুরু করবেন।

এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদ জগলুল ফারুক বলেন, এটি পানি উন্নয়ন বোডোর্’র রাস্তা ভাঙন ঠেকাতে তারা হয়তো কোন ব্যবস্থা নিবেন এবং যেহেতু আমরা পাকাকরণ করেছি তাই সড়ক মেরামত কারার লক্ষে সামনে মেইনটেন্যান্স প্রকল্প থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে ।

দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনামিকা নজরুল বলেন, ভাঙন এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি। ওখানকার অবস্থা একদম ঝুকিপূর্ণ তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডি’র সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।

এইচআর