নন্দীগ্রামে হিরো আলমের ওপর হামলার চেষ্টা, প্রচারণায় বাধা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩, ১০:১৭ এএম
ছবি: সংগ্রহ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা ও ভোটের প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নৌকার কর্মী-সমর্থক ও আওয়ামী লীগের নেতারা লাঠি হাতে হামলায় অংশ নেয় এবং হামলার ভিডিও ধারণ করা কর্মীর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ডাব প্রতীকের প্রার্থী কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম।

তবে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করলেও রহস্যজনক কারণে কাউকে আটক করেনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে এ হামলার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা।

[271250]

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের মুরাদপুর বাজারে ভোটের প্রচারণার সময় হিরো আলম ও তার কর্মীদের সঙ্গে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বাকবিতন্ডা এবং হামলা চেষ্টার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, হিরো আলম মুরাদপুর বাজারে ভোটের প্রচারণায় গেলে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা তাকে বাধা দেয়। তারা হিরো আলমকে বলে এখানে শুধু নৌকা মার্কার প্রচারণা হবে, এখান থেকে চলে যা। নৌকা ও ডাব মার্কার দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৫-৬জন কর্মী লাঠি হাতে হিরো আলম ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় হিরো আলমের এক কর্মী ভিডিও ধারণ করলে মোবাইল কেড়ে নেয় নৌকার কর্মী-সমর্থকরা।

[271247]

হিরো আলম বলেন, নৌকার কয়েকজন কর্মী ভোটের প্রচারণার বাধা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা লাঠি হাতে হামলায় অংশ নেয়। হামলার ভিডিও ধারণ করা আমার কর্মীর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। বগুড়ার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তা চেয়ে তারপর প্রচারণায় এসেছি। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা না হলে বুঝে নিতে হবে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচনে আমার ওপর বড় ধরণের হামলা হতে পারে আশংকা করছি। কয়েকদিন আগে কাহালুতে এক প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে, আজ আমার ওপর হামলা। তবে কি নৌকা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়? এরা ভোটের দিনেও ঝামেলা করবে। বুঝাই যাচ্ছে বগুড়া-৪ আসনের নির্বাচন ঝুঁকিপূর্ণ, এবার ভোট করা আমার জন্য কঠিন হতে পারে। এদিকে একটি ভিডিওতে দেখা যায় ঘটনাস্থলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা হিরো আলমের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বুড়ইল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, কয়েকজন নেতাকর্মী হিরো আলমকে কাছে পেয়ে জাস্ট মজা করছিল। এসময় হঠাৎ তিনি নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। তবে আমি সেখানে গিয়ে প্রশাসনের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।

[271221]

নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইন আজম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রার্থীর ওপর হামলার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। প্রচারণায় বাধা বা প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[271248]

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে একতারা মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হিরো আলম। ভোটযুদ্ধে রেকর্ড গড়েও মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে জাসদের রেজাউল করিম তানসেনের কাছে হেরে যান এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে তানসেনের মুখোমুখি হয়েছেন হিরো আলম। তিনি বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রাথী (ডাব প্রতীক) ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছেন। রেজাউল করিম তানসেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধিন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী (নৌকা প্রতীক)।

এআরএস