সংরক্ষিত বন ডুবিয়ে মাছ চাষ

নদভীর পিএসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে বনবিভাগের ৪ মামলা

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০১:১৪ পিএম
এরফানুল করিম। ছবি: সংগৃহিত

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য ও গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নদভীর পিএস এরফানুল করিমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ২৬(১ক) ও ৩৩(১ক) ধারায় আদালতে ৪টি মামলা দায়ের করেছে বনবিভাগ। তাঁদের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত বন ডুবিয়ে মাছ চাষ করা অভিযোগ রয়েছে। মামলায় পিএস এরফানুল করিমের সঙ্গে তাঁর বাহিনীর প্রধান সেনাপতি মঞ্জুর আহমদ ও নাসির উদ্দিনের নাম রয়েছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ও সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাহাড়ি ছড়ায় বাঁধ দিয়ে আড়াই হাজার একর সংরক্ষিত বন ডুবিয়ে হ্রদ করে মাছ চাষ করেন। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি হাতির চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে দেশের শীর্ষ একটি দৈনিকে সংবাদ প্রচারের পর টনক নড়ে বনবিভাগের। সংবাদ প্রকাশের পর তোড়জোড় করে হ্রদ কেটে দেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করে বনবিভাগ।

পত্রিকায় সংবাদ হওয়ার পর কেন এই তোড়জোড় প্রশ্নে বনবিভাগ সাবেক সাংসদ নদভীর সরাসরি হস্তক্ষেপের কারণে পারেন নাই বলে গণমাধ্যমকে বলেন।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, বনবিভাগের যোগসাজশে তাঁরা হ্রদ করার সাহস পেয়েছিল। এই হ্রদ থেকে পিএস এরফানুল করিম ও তাঁর প্রধান কয়েকজন কোটি কোটি টাকা আয় করেন বলে দাবি স্থানীয়দের। হ্রদ করার কারণে ক্ষয়ক্ষতি এবং হ্রদ থেকে আয় করা টাকা ফেরতের দাবি তুলেন স্থানীয়রা। 

সহকারী বন সংরক্ষক (পদুয়া) মো. দেলোয়ার হোসেন দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার পক্ষে চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা, বড়হাতিয়া বিট কর্মকর্তা ও চুনতি রেঞ্জের স্টাফগণ মামলার বাদী হয়ে পৃথক পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়।

এআরএস