যে অট্টালিকায় জড়িয়ে আছে ইতিহাস

সঞ্জিত চন্দ্র শীল, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নীলকুঠি আর এর জরাজীর্ণ দালান-কোঠার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের ইতিহাস। নীলকুঠিটি গড়ে উঠেছিল বাংলার তদানীন্তন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের নামানুসারে হোসেনপুর পরগনার ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব তীরে।

হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের চৌদার (সাহেবের গাঁও) এলাকায় নীলকরদের বাড়ি এবং টান সিদলা গ্রামে নীলকুঠির কার্যালয় ও পুরাতন পুকুরটি নীলকর সাহেবদের নানা স্মৃতি আজও বহন করে চলেছে।

জানা যায়, ১৭৩০-১৭৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ নীলকর ওয়াইজ স্টিফেন্স ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে সিদলা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী চৌদার গ্রামে নীলকরদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য নীলকুঠি স্থাপন করেন। সে সময় এ অঞ্চলে বাধ্যতামূলক কৃষকদের ওপর নীল চাষ চাপিয়ে দেওয়া হতো।

প্রথম দিকে ইংরেজরা নীল চাষে লাভবান হলেও ধীরে ধীরে নীল ব্যবসায় ধস নামতে শুরু করে। পরবর্তীতে তারা এ ব্যবসা গুটিয়ে অন্যত্র পাড়ি জমান। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বাসিন্দা উমেদ আলী এ নীলকুঠির দেখভালের দায়িত্ব পান।

বর্তমানে ঐতিহাসিক নীলকুঠিটি আমেনা মঞ্জিল নামে পরিচিত। স্থানীয়দের কাছে আজও ইংরেজ নীলকরদের বিভিন্ন কাহিনি ও কালের সাক্ষী হয়ে আছে এটি। অনেকেই মনে করেন সংস্কার করলে একটি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে ঐতিহাসিক এ নীলকুঠি।

ইএইচ