বিয়েই পেশা বিয়েই নেশা, বাদ যায়নি প্রতিবন্ধীও অবশেষে গ্রেপ্তার

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৮:২১ পিএম

দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌবাহিনী সদস্যের পরিচয় দিয়ে সাধারণ পরিবারের মোট ১৩ জন মেয়েকে বিবাহের মাধ্যমে অর্ধ কোটিরও বেশি হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ২ সদস্য গ্রেপ্তার করছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড ও ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি উদ্ধার করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌবাহিনী সদস্যের পরিচয় দিয়ে ১৩ জনকে বিয়ে করেছেন তিনি। এরমধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধী। মহিদুল ইসলাম মইদুলের (২৭) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। সঙ্গে কুদ্দুস আলী (৩৫) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এমএলএসএস হিসেবে দুই বছর চাকরিবিধি বহির্ভূতভাবে বাল্য-বিবাহ করার অপরাধে চাকুরিচ্যুত হন মহিদুল। পরে অভিভাবকদের বিশ্বাস অর্জন করে এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে বিয়ে করেছেন।

বিবাহিত স্ত্রীদের মধ্যে মানিকগঞ্জের তিনজন, টাঙ্গাইলের তিনজন, কিশোরগঞ্জের একজন ও ময়মনসিংহের ছয়জন রয়েছেন।

মহিদুলের এই প্রতারক চক্র এসব পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি, তার এই প্রতারণার ফাঁদ থেকে প্রতিবন্ধী নারীও রেহাই পায়নি। মানসিক প্রতিবন্ধী ভাতা হাতিয়ে নিতে বিয়ে করেন টাঙ্গাইলের এক নারীকে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, আসামি মহিদুলের কাছে নৌবাহিনীর ভুয়া আইডি কার্ড, বাহিনীর ব্যবহার্য ট্রাকস্যুট এবং বিভিন্ন বাহিনীর ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি পাওয়া গেছে। মহিদুলসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে জামালপুর ও টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলায় একাধিক প্রতারণা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় জড়িত প্রতারকচক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের  অভিযান অব্যাহত আছে।

ইএইচ