ট্রলার মালিককে কুপিয়ে হত্যা করে মাছ-ট্রলার লুট, একজন আটক

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
ছবি: আমার সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে আহরিত মাছ ট্রলার থেকে ক্রয় (কেরিং) করার সময় জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রলারের মালিককে কুপিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয় অপরজনকে কুপিয়ে জখম করে ইব্রাহিম নামের এক জেলে।

শুক্রবার গভীর রাতে সাগর থেকে কূলে আসার পথে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানখালীর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ইব্রাহিম (৩৮) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ইব্রাহিম বরগুনার তালতলী অঙ্কুজান এলাকার সুলতানের ছেলে।

জানা গেছে, ওই ট্রলারে থাকা ৩ জেলের মধ্যে রাশাদ খানকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয় ইব্রাহিম। পরে জামাল হোসেন (৩০) নামের একজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সে।

নিহত রাশাদ পটুয়াখালী জেলার রাঙাবালি উপজেলার চরমোন্তাজ এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে। আহত জামাল একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি পটুয়াখালীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পরে ঘাতক ইব্রাহিম ট্রলার ও মাছ লুট করে নিয়ে এসে পাথরঘাটা ঘাটে বিক্রি করে। ওই মাছ ক্রয় করে বাচ্চু আড়তদার। পরে ওই মাছ সংরক্ষণ করতে বরফ কিনতে কেবি-রুপালী বরফকল ঘাটে জনতার হাতে ধরা পরে সে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা।

আটক ইব্রাহিম ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি খুন করিনি, ওই ট্রলারের পাখায় জাল পেঁচালে উঠানোর সময় রাশাদের কাপড় পেঁচিয়ে পেট কেটে যায় এ সময় রাশাদ ও জামালের মধ্যে তর্ক হলে রাশাদ জামালকে লাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তাৎক্ষণিক জামাল পানিতে পরে যায়।

পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আটক ইব্রাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। আমরা ট্রলার জব্দসহ জব্দ তালিকা করে পটুয়াখালীর গলাচিপায় পাঠানো হবে। মাছ নিলামে বিক্রি করে ট্রলারের মালিক নিহত রাশাদের ভাই তুহিনের কাছে টাকা দেয়া হবে।

ইএইচ