এ যেন হাসপাতাল নয় গাঁজার বাগান!

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৪, ১২:৪৩ পিএম

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জেনারেল হাসপাতালটি এখন রীতিমতো গাঁজার বাগানে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রকাশ্যেই বেড়ে উঠেছে কয়েকশো গাঁজার গাছ। সকলের সামনে দিনের পর দিন এই গাঁজার গাছ গজিয়ে উঠলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই।

খবর নিয়ে জানা গেছে, শত বছরের প্রাচীন ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি গত কয়েক বছর যাবত ধুঁকছে নানা সমস্যায়। তারপরও জেলা সদরের এই হাসপাতালে প্রতিদিন ভিড় করে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকশো রোগী। রোগীর ভিড়ে হিমশিম খান ডাক্তারেরা। কর্তৃপক্ষের হয়ত একারণে হাসপাতালের দিকে একটু ভালোভাবে নজর দেয়ার ফুরসৎও মিলেনা। আর এ কারণেই হয়ত হাসপাতালের অভ্যন্তরে জনচলাচলের রাস্তার পাশেই গড়ে উঠেছে একের পর এক গাঁজার বাগান।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেনারেল হাসপাতালের উত্তর দিকে স্টাফ কোয়ার্টারের পথের দুই ধারে ও হাসপাতাল থেকে মসজিদে যেতে পথের ধারে প্রকাশ্যে এভাবে শত শত গাঁজার গাছের বেড়ে ওঠার দৃশ্য দেখে চমকে উঠতে হয়। এও কি সম্ভব? তাও সপ্তাহ কিংবা মাস নয়, বছরের পর বছর ধরে নাকি এভাবেই গাঁজা গাছগুলো বেড়ে উঠেছে।

হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানালেন, প্রায় চার-পাঁচ বছরযাবত এই গাঁজার গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। আগে আরো বেশি ছিল। অনেকগাছ কেটে তারা পরিষ্কার করেছেন। তারপর আবার হয়েছে। সকলের সামনেই বেড়ে উঠেছে। কিছু ছেলেপুলে এগুলো ছিড়ে নিয়ে রস করে খায় বলে তাদের জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গনেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আসলে বিষয়টি আমার জানা নেই। গাজার গাছ কেমন হয় তাও আমার জানা নেই। তবে অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া আমি গাজার গাছ জীবনে দেখিনি। তারপরও যেহেতু আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম সেহেতু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখবো। সত্যি যদি গাজা গাছ হয় তাহলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এইচআর